মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাঁধ ভেঙে পানির নিচে আমনক্ষেত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ
বাঁধ ভেঙে পানির নিচে আমনক্ষেত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের হাজিখালী খালের বাঁধ ভেঙে গেছে। গত রোববার এ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানি আসা-যাওয়া করছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে ৯টি গ্রামের প্রায় ৫০০ একর আমন ক্ষেত বিনষ্টের পথে।

স্থানীয়রা জানান, পায়রা নদীর শাখা থেকে মেন্দিয়াবাদ ও হাজীখালী গ্রামের সংযোগস্থল থেকে উৎপত্তি হয়ে হাজীখালী খাল দেউলীর বেবেরদোন নদীতে পড়েছে। এরপর রানীপুর, বোয়ালিয়া, মুসুদাসহ অনেক শাখা খাল সৃষ্টি হয়েছে। হাজীখালী খালের উভয়প্রান্তে বাঁধ এবং একটি স্লুইসগেট দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়ে শাখাখাল দিয়ে বিভিন্ন শস্যক্ষেতে যায়, যার ওপর ভিত্তি করে হাজীখালী, মেন্দিয়াবাদ, রানীপুর, সাতবাড়িয়া, দেউলী, লেমুয়া, চত্রা, চরখালী, গোলখালীসহ আশপাশের গ্রামের কৃষির সেচ ব্যবস্থা চলমান। গত ৭ ডিসেম্বর পায়রা নদীপ্রান্তে খালের বাঁধ ভেঙে যায়। এতে এসব গ্রামের আমনের ক্ষেত তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন জোয়ারের সময় পানি আরও বাড়ছে। ফলে পুরো আমনের ক্ষেত নষ্টের পথে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আমন ধান শুকনো মৌসুমের ফসল। পানির নিচে তলিয়ে থাকায় একটি ধানও ঘরে ওঠানো সম্ভব হবে না। আমাদের পথে বসতে হবে। আমাদের জীবন-জীবিকা এই আমন ধানের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল। তার ওপর অনেকেরই মাথায় ঋণের বোঝা। খালে বাঁধ দেওয়া না হলে আমাদের সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের দাবি দ্রুত বাঁধ সংস্কার করা হোক।

এদিকে বাঁধ সংস্কারের দাবিতে গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইউব খান, মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি খন্দকার আতাহার উদ্দিন, দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনসহ স্থানীয়রা এ আবেদনে স্বাক্ষর করেন।

উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আতাহার উদ্দিন বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষক মূলত এক সিজনাল আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল। ৫০০ একর জমির আমন ধান পানিতে নষ্ট হওয়ার ধকল সামলানো যাবে না। কৃষকদের পথে বসতে হবে। এ ছাড়া ক্ষেতে পানি থাকলে ডাল, বাদাম, আলু, তরমুজ, সূর্যমুখীসহ কোনো রবিশস্য চাষ করা সম্ভব হবে না। তাই আমরা ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বাঁধ নির্মাণের আবেদন করেছি। তিনি স্থানটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. মলিহা খানম বলেন, বাঁধ নির্মাণের একটি আবেদন পেয়েছি। পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নখ কাটার ছোট পিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ

এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা

আজ বাংলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে ‘বিজয় বইমেলা’

প্রতীক না ব্যক্তি, কী দেখে ভোট দেবেন মানুষ, জানা গেল জরিপে

নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন অনলাইনেই

আজ পদত্যাগ কর‍তে পারেন দুই ছাত্র উপদেষ্টাই

তৃতীয় অ্যাশেজের জন্য দল ঘোষণা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার

শাকিব ছাড়া লগ্নি করতে চায় না কেউ, এটা সুসংবাদ নয়: অপু বিশ্বাস

কিস্তির টাকা না পেয়ে হাঁস নিয়ে গেল এনজিও কর্মী

কত শতাংশ মানুষ নির্বাচনে আ.লীগকে চান না, জানা গেল জরিপে

১০

প্রথমবারের মতো বিপিএল মাতাতে আসছেন স্মিথ

১১

দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১২

কড়া নিরাপত্তায় আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ

১৩

দামেস্কের সামরিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণ

১৪

বিগ ব্যাশ: রিশাদের ম্যাচ কবে কখন, সতীর্থ কারা

১৫

মেয়ের ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল নিয়ে কড়া বার্তা ঐশ্বরিয়ার

১৬

বিলের জলে লোকসংস্কৃতির ঢেউ 

১৭

১৩৬ কোটি টাকার জমি দান করলেন ‘অর্জুন রেড্ডি’র দাদি

১৮

স্কুল ভর্তির লটারি বৃহস্পতিবার, ফল জানবেন যেভাবে

১৯

এআই কি সব পেশার জন্যই বড় হুমকি

২০
X