

কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্রুত অগ্রগতি আধুনিক অফিসের অনেক কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে দিচ্ছে। তবে এআই সব পেশা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে দেবে— এমন আশঙ্কা অমূলক বলে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তি বিষয়ক মাধ্যম সি-নেট।
সি-নেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যানথ্রপিকের সিইও ড্যারিও আমোডেই মনে করেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এআই প্রযুক্তি অফিসকেন্দ্রিক এন্ট্রি-লেভেল চাকরির অর্ধেক বিলুপ্ত করতে পারে। একইভাবে মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও এপ্রিল মাসে জানিয়েছিলেন, এক বছরের মধ্যেই এআই সিস্টেম কোম্পানির মোট কোডের অর্ধেক লিখতে সক্ষম হবে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপ বলছে, ৬৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন, এআই উপলব্ধ চাকরির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। এ কারণে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
মাইক্রোসফটের গবেষকেরা গত জুলাইয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন। সেখানে কোন কোন পেশার কাজ এআই-এর সক্ষমতার সঙ্গে বেশি মিলে যায় তা তুলে ধরা হয়েছিল। তালিকায় অনুবাদক, ইতিহাসবিদসহ বেশ কিছু পেশা শীর্ষে থাকায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেন, কাজের সঙ্গে মিল থাকলেই চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেশি— এমন ধারণা ভুল হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, যেসব কাজে এআইয়ের সক্ষমতার সঙ্গে বেশি মিল পাওয়া গেছে, সেসব কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে— এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয়। নতুন প্রযুক্তির ব্যবসায়িক প্রভাব আগেই অনুমান করা কঠিন এবং অনেক সময় তা বিপরীত দিকে গড়ায়।
ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড্যারেল এম. ওয়েস্ট সি-নেটকে বলেন, ‘চাকরি’ ও ‘টাস্ক’ অর্থাৎ কাজ— এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি। তার মতে, অধিকাংশ পেশাই টিকে থাকবে। তবে সেই পেশার বহু ছোট–ছোট কাজ এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে ফেলবে।
মন্তব্য করুন