ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ঘরে বসেই ভার্চুয়ালি দেখা যাচ্ছে আজিমপুর কবরস্থান। একই সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে কবরস্থানের যাবতীয় তথ্যও পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঘরে বসেই দাফন সনদ সংগ্রহ সম্ভব হবে। গতকাল সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে আয়োজিত ‘ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট মামলা ব্যবস্থাপনা ও সম্পত্তি ভান্ডার ব্যবস্থাপনা’র অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে আজিমপুর কবরস্থানকে নিয়ে করা হয়েছে। এ কবরস্থানে দাফনকৃতদের তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ চলছে। এখান থেকে দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। ধারণা করা হয়, সপ্তদশ শতাব্দীতে ঢাকা শহরের পতনের সমসময়ে এ কবরস্থানের সূচনা। এখানে শায়িত আছেন বায়ান্নর ভাষাশহীদসহ দেশের অনেক কৃতী সন্তান। আজও নগরবাসীর মরদেহ প্রতিনিয়ত সমাহিত হচ্ছে। এদিকে একই দিনে আরও দুটি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পত্তি তথ্যভান্ডার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বলা হয়েছে, ডিএসসিসির অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য সম্পত্তি তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। এ সফটওয়্যার থেকে সম্পত্তি বিভাগ ডিএসসিসির সব স্থাবর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা করতে পারবে।
আর মামলা ব্যবস্থাপনা অ্যাপসের বিষয়ে বলা হয়েছে, অ্যাপসটি ডিএসসিসির আইন বিভাগের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ সিটির আইন বিভাগ মামলা-সংক্রান্ত নথি, উপাদান ইত্যাদি সহজে সংরক্ষণ ও অবলোকন করতে পারবে। এ ছাড়া আইনজীবীরা মামলার পরবর্তী শুনানির প্রজ্ঞাপন যথাসময়ে নোটিফিকেশন পাবেন এবং মামলা-সংক্রান্ত আইনজীবী মামলার প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্যাদি সহজে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন