কানাডিয়ান নাগরিক নারিসসা হক। তিনি গত ৬ মার্চ ঢাকা থেকে হংকং হয়ে কানাডা যাওয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দনে আসেন। তবে কানাডা বিমান ধরতে পারেননি। ১ লাখ ৯০০ কানাডিয়ান ডলারের শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে করা মামলায় যেতে হয়েছে কারাগারে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নারিসসা কৌশলে নিজের ব্যাগে ১ লাখ ৯০০ কানাডিয়ান ডলার লুকিয়ে রাখেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০ লাখ টাকা। বিমানবন্দরে চেকইনকালে তার ব্যাগে কাগজের মুদ্রাসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। তিনি ব্যাগে লুকিয়ে রাখা মুদ্রা বের করে দেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহসাব হোসাইন বিমানবন্দর থানায় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। ৭ মার্চ আসামি নারিসসাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিন দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আসামির আইনজীবী বদরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার কানাডিয়ান নাগরিক আন্তঃমুদ্রা পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রকৃত তথ্য গোপন করে এলোমেলো তথ্য দেন।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিদেশ গমনকারী যাত্রীর কাছে ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণের অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা থাকলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র নিয়ে তার পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে; কিন্তু কানাডিয়ান নাগরিকের কাছে এনডোর্সমেন্ট না থাকায় কাস্টম গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বদরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, প্রেপ্তার নারিসসা দ্বৈত নাগরিক। নিজের সম্পত্তি বিক্রি ও মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা নিয়ে কানাডা যাচ্ছিলেন। এত টাকা বহন করা যায় না এটা তার ধারণা ছিল না। জানলে কর দিয়েই এ অর্থ নিয়ে যেতেন।