রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ

২০০৭ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
২০০৭ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা বিভিন্ন মামলায় ২০০৭ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনার প্রায় এক বছরের কারাবন্দি সময়ে তার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নানা কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন জোরালো হয়। এক পর্যায়ে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

গ্রেপ্তারের দিন ভোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই সহস্রাধিক সদস্য শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসেন এবং বন্দি অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করেন। আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইনবহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সেদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারমুখী ও কঠোর অবস্থানের মধ্যেও দলের নেতাকর্মীরা প্রিয় নেত্রীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ কালবেলাকে বলেন, ‘সেদিন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্রকেই অবরুদ্ধ করে সেনাসমর্থিত সরকার। কিন্তু আমরা সেদিন পুলিশের লাঠিপেটা ও মারমুখী অবস্থানের মধ্যেও আদালত এলাকায় তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলি। আমিসহ অসংখ্য নেতাকর্মী সেদিন আহত হন। পরে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তা ফেসবুক পোস্ট

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

১০

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

১১

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

১২

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

১৩

চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী

১৪

‘টাইম টু টাইম’ শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন ডা. জুবাইদা

১৫

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী : রিজভী

১৬

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৭

মির্জা আব্বাসের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভিপি সাদিক কায়েম

১৮

‘দেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসী তরুণদের জ্ঞান-প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে যুক্ত করতে হবে’

১৯

বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

২০
X