

নামের ভুলে কারাবন্দি আমান ছৈয়াল অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরলেন। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
জেলগেট থেকে বের হলে অপেক্ষারত স্ত্রী-সন্তানরা অশ্রুসজল তাকে বরণ করে নেয়। আমান চাঁদপুর শহরের দর্জিঘাট এলাকার মোল্লা বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া একটি প্রতিবেদন দাখিল করার পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। নামের ভুলে ভ্যানচালক আমান ছৈয়ালকে শুধু জামিন নয়, মামলা থেকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছেন চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
আমান ছৈয়ালের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ জানান, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক খোঁজখবর নিয়েছেন। দ্রুত আমানের মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। শুধু নামের মিল ছিল। আর কিছু মিল ছিল না। তিনি একজন ভ্যানচালক। ভুলবশত আমানকে কারাবাস করতে হয়।
আমানের স্ত্রী বলেন, এক মাস ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। পরে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিকের কাছে যাই।
আমান ছৈয়াল বলেন, এত দ্রুত মুক্তি পাব তা ভাবতে পারিনি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া বলেন, নামের ভুলে যদি এমন কাউকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয় তা আমরা পুনঃতদন্ত করার কথা বলেছি। তার প্রেক্ষিতে যখন বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করা হয়, আমরা তা যাচাই-বাছাই করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিই। আদালত আমান ছৈয়ালকে মুক্তি দিয়েছেন।
এর আগে গেল ২০ অক্টোবর চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাহার মিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় আমান ছৈয়ালকে। অথচ মামলার এজহারে ১৮৫ নম্বর আসামি আমান জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে সে পলাতক। পরে গেল ১৮ নভেম্বর দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন