বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে চাকরি থেকে অবসায়ন, একজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও চারজনের নিয়োগের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়ের মামলায় ডিবির দেওয়া অভিযোগপত্রে নাম আসায় ১০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার ১১ জনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ২১ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি পদের লিখিত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলার ২ জুলাই বিমানের তৎকালীন ডিজিএম তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ডিবি। তাইজ ইবনে আনোয়ার প্রেষণে বিমানে নিয়োগ পেয়েছিলেন। বিমান সূত্র জানায়, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের স্বাক্ষরে বিমানের নিরাপত্তারক্ষী আইউব উদ্দিন, মোটর ট্রান্সপোর্ট অপারেটর মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, মহসিন আলীকে চাকরি থেকে অবসায়ন করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত ও চুক্তি বাতিলের পাঁচটি অফিস আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বিমানের পরিচালক প্রশাসন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নওসাদ হোসেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বিমানের যানবাহন বিভাগের শিডিউলিং সুপারভাইজার মোহাম্মদ মাহবুব আলম শরীফকে। চুক্তি বাতিল করা হয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ট্রাফিক হেলপার আল আমিন, আবদুল মালেক, আলমগীর হোসেন ও ক্লিনার তাপস কুমারের।
মন্তব্য করুন