কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০২:২৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পাল্টে যাচ্ছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

পাল্টে যাচ্ছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করতে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্য়য় মহাহিসাব নিরীক্ষককে দিয়ে নিরীক্ষার বিষয়টি আগে ছিল না, এখন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় মহাহিসাব নিরীক্ষককে দিয়ে বিএসএমএমইউর ব্যয় নিরীক্ষার সুযোগ রাখা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৯৮ সালে করা আইনের কয়েক জায়গায় সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিএসএমএমইউর ভিসি, প্রোভিসি বা ট্রেজারারের মেয়াদ চার বছর করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিন মাসে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ৩৪টি: এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৬৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৪টি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (এপ্রিল-জুন) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। ব্রিকস জোটের ব্যাংকে অংশ নিতে চুক্তির অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন: ব্রিকস জোটের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে অংশ নিতে এ সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আটটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এই ব্যাংকে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণের সেই চুক্তি রেটিফাই (অনুসমর্থন) করার প্রয়োজন ছিল, আজ মন্ত্রিসভা ওই চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই চুক্তি অনুমোদন হওয়ায় কী সুবিধা পাওয়া যাবে—এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কয়েকটি প্রজেক্ট আছে, ৬০০ কোটি টাকার বেশি প্রজেক্ট পাইপলাইনে আছে। অনুসমর্থন হয়ে গেলে ওই প্রকল্পগুলো পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংক, এডিবির মতো দাতা সংস্থা যারা আছে তারা ফসিল ফুয়েলের ওপর প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় না উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই ব্যাংকে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ নেই। তারা এখানে অর্থায়ন করছে। অর্থায়নের জন্য আমাদের প্রকল্প বাছাই করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১০

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১১

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১২

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১৩

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৪

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৫

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৬

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৭

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৮

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৯

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

২০
X