রাশেদ রাব্বি
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ভাইরাস সংক্রমণ

আতঙ্কের নয় এইচএমপিভি

আতঙ্কের নয় এইচএমপিভি

কভিড মহামারির ধকল না কাটতেই নতুন বছরের শুরুতে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস)। কভিডের মতো এইচএমপিভি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সেই চীন থেকেই। তবে বাংলাদেশে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই ভাইরাসের উপস্থিতি অনেক আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে। প্রতি শীত মৌসুমে এই ভাইরাসে এদেশের কিছু মানুষ আক্রান্ত হন এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন। ভাইরাসটির আচরণ অনেকটা সাধারণ ফ্লুর মতোই।

আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম জানাচ্ছে, এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। বেইজিং অবশ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কোনো ভয়েরও কারণ নেই। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এ বিষয়ে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এ বিষয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, ভাইরাসটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায় এবং বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সতর্কতা হিসেবে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।

জানা গেছে, এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই উপসর্গ দেখা যায়। নাক দিয়ে লাগাতার তরল নির্গত, গলায় ব্যথা অনুভব হওয়া অর্থাৎ ফ্লু-এর মতো সমস্ত উপসর্গ। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাও আক্রান্ত ও অসুস্থ হতে পারেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নেই।

প্রায় দুই দশক আগে এইচএমপিভি ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত এর প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকা সম্ভব।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং জনসমাগম স্থানে মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আরিফা আকরাম বলেন, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রায় দুই দশক আগেই রেসপিরেটরি প্যানেলে এই ভাইরাসের উপস্থিতি আমারা নিয়মিতভাবে পেয়েছি। আমাদের দেশে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মা ও দুই শিশুর মরদেহ পৃথক স্থানে দাফন, মামলা হয়নি এখনো

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে : সেলিমা রহমান

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

গোলাম রাব্বানীর দুই পদ বাতিল করল ঢাবি

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার

দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে অটোর ধাক্কা, স্কুলশিক্ষক নিহত

প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা 

ইসলামেই আসবে সত্যিকারের মুক্তি : চরমোনাই পীর

হাসিনার লকারে শুধু পাটের ব্যাগ, যৌথ লকারে সোনার নৌকা-গয়না

১০

রাজশাহীতে আর কোনো পুকুর ভরাট হবে না : বিভাগীয় কমিশনার

১১

বিপিএলে নোয়াখালীর প্রধান কোচ হচ্ছেন সুজন

১২

ব্যালটে যেমন দেখা যাবে এনসিপির শাপলা কলি প্রতীক

১৩

বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৫ উদযাপন

১৪

এনসিপি জোটের ঘোষণা আসতে পারে আগামীকাল

১৫

মিঠুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৬

এরদোয়ানকে নিয়ে মন্তব্য করায় সাংবাদিকের ৪ বছর কারাদণ্ড

১৭

এবার মালয়েশিয়ার কাছে হারল বাংলাদেশ

১৮

পুলিশ বক্সে আশ্রয় নিয়েও বাঁচতে পারলেন না যুবদল কর্মী

১৯

অনলাইন শপিং ও গেমিংয়ে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে : ক্যাসপারস্কি

২০
X