সুশোভন অর্ক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৫ এএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কৃষি মার্কেটে আগুন

কবে খুলবে দোকান, শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

কবে খুলবে দোকান, শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

অগ্নিকাণ্ডে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বেশিরভাগ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবুও শূন্য থেকে শুরুর স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা। এ যেন ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা। জীবনে টিকে থাকার নতুন লড়াই। দুঃখ-দুর্দশা আর ক্ষয়ক্ষতিকে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখার আশা তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট সংস্কার করে দ্রুত ব্যবসা চালু করতে পারলে কিছুটা দুর্দশা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে কবে থেকে দোকান চালু হবে, সেই শঙ্কার রেখা তাদের মুখে।

গত বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ন্ত্রণে আসে কৃষি মার্কেটের আগুন। এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালপত্র নিঃশেষ হয়ে গেছে। আগুনের এ ঘটনায় সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাদের অনুরোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের যেন সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয়। তারা বলেন, দ্রুত পুনর্বাসনই পারবে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও সামাল দিতে।

সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ইব্রাহিম। চাল-ডাল এবং অন্যান্য পণ্যসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালপত্র ছিল তার দোকানে। সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া চাল থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার আর কিছুই নেই। এসব পণ্য দিয়ে আমি আর কিছু করতে পারব না। ৮০ টাকা কেজির নাজিরশাইল চাল ১০ টাকা কেজিতে দিয়ে দিচ্ছি। এখন যা ক্ষতি হওয়ার তা তো আমার হয়েছে। আবার যদি সবকিছু ঠিকঠাক করে ব্যবসা শুরু করতে পারতাম, তাহলে কিছু উপকার হতো।

কসমেটিকসের দোকানের মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই দোকানে কোটি টাকার মালপত্র ছিল। এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই। দোকানের শাটার পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ৫০ লাখ টাকার লোন আছে। চোখে এখন অন্ধকার দেখছি। কবে সব ঠিক হবে, কবে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারব, কিছুই বুঝতে পারছি না।

শওকত এন্টারপ্রাইজের মালিক নুর মোহাম্মদ সাজুও একই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এক দিন ব্যবসা না হলেই অনেক লস। এখন তো কোনো মালপত্রও নাই। এরপরও দোকানটা ঠিকঠাক করতে পারলে কিছু একটা করতে পারতাম। কেউ আমাদের কিছু জানায়নি যে কীভাবে কী করবে। পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

চন্দ্রবিন্দু ফ্যাশন কর্নারের মালিক কবির হোসেন বলেন, মালিক সমিতি বা অন্য কেউ আমাদের জন্য কে, কীভাবে, কী করবে—জানি না। সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন দ্রুত আমাদের আবার ব্যবসা করার সুযোগ দেয়। আর কিছু আর্থিক অনুদান দিলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম। আমাদের যে দুরবস্থা হয়েছে, পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। দোকানের সব শেষ। শুধু আমার গায়ের শার্ট আর প্যান্টটা আছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ সলু জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ চলছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হবে, ব্যবসায়ীরা আবারও দোকান চালু করতে পারবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই টাইসনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না  

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কী খাবেন, কী খাবেন না

চারটি করে আসন চান মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের প্রতিনিধিরা

ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে যৌথ বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারজুড়ে ভয়াবহ যানজট

আড়াই মাস ধরে বন্ধ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় মাদক ও অস্ত্রসহ আটক

বাতিল হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় পাওয়া পরীক্ষা কেন্দ্র

জঙ্গিসহ ৭০০ আসামি এখনো পলাতক : কারা অধিদপ্তর

টেস্ট থেকে হুট করে অবসরের মূল কারণ জানালেন রোহিত

১০

সুন্দরবনে অভিযান দেখে পালালেন জেলেরা, জব্দ ৮৫০ কেজি কাঁকড়া  

১১

শরিফুল এম খানকে মার্কিন দূতাবাসের শুভেচ্ছা

১২

চোখে চোখ রেখে কথা বলা কেন জরুরি, জেনে নিন

১৩

নতুন একটি নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প, থাকছে কঠোর শাস্তি

১৪

পবিপ্রবিতে অর্থ কেলেঙ্কারি, ২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

১৫

শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার

১৬

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি : দিবসেই শুধু কদর বাড়ে নিহতদের পরিবারের

১৭

৩৫ বছর ধরে বেদখলে থাকা জমি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্ধার

১৮

ঘোষিত দলে কেন জায়গা হয়নি নেইমারের, জানালেন আনচেলত্তি

১৯

মাছের মাথার ‘সোনার মণি’ বিক্রি করে লাখ টাকা আয় নেওয়াজের

২০
X