তানভীর রিফাত অনিক, জাবি
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫১ এএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জাবির হলে মাদকের থাবা, নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ

মাসে ৭ হাজারের বেশি ইয়াবা সাপ্লাই
জাবির হলে মাদকের থাবা, নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর এলাকা থেকে ফোন দেওয়া হয় এক মাদক ব্যবসায়ীকে। তাকে একটি ‘সবজি’ আনতে বলা হয়। ঠিক ১৭ মিনিটের মাথায় সাইকেলে করে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী এসে পৌঁছে দিয়ে যায় এই ‘সবজি’। তার চোখে-মুখে ভয় স্পষ্ট। ‘সবজি’র দাম ৮০ টাকা আর ডেলিভারি চার্জ ২০ টাকা। এটি সাম্প্রতিক ঘটনা। ওই ব্যক্তি যে সবজি বহন করে এনেছিল, তা আসলে গাঁজা। ক্যাম্পাসে এমন নানা নামে বিভিন্ন মাদকের নামকরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সাংকেতিক নামেও মাদক সরবরাহের অর্ডার দেওয়া হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মাদকের সিন্ডিকেট চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলগুলোতে তারা মাদকের ভয়াল জাল বিছিয়েছে। ছাত্রলীগের আয়ের অন্যতম উৎস মাদক। হলগুলো হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বহিরাগতরা হলের চিহ্নিত কক্ষগুলোতে নিরাপদে মাদক সেবন করে প্রতিনিয়ত। এ ক্ষেত্রে মাদকের অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হয় তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্রদের মাধ্যমে এই ব্যবসা পরিচালিত হয় বলে সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক মইন খন্দকার। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস ও আশপাশে প্রতি মাসে ৭ হাজারের বেশি ইয়াবা সাপ্লাই হয়। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার থেকে মাদক নিয়ে আসে জাহাঙ্গীরনগরে। সেই মাদক বণ্টন করেন ছাত্রলীগের সিনিয়ররা।

র‌্যাবের বক্তব্যের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘র‌্যাবের বক্তব্যে আমরা সবাই শঙ্কিত। সংগঠনের কেউ জড়িত আছে কি না, সেটি তদন্ত করে দেখব। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ হলভিত্তিক। প্রায় প্রত্যেক হলে রয়েছে একাধিক সদস্যকে নিয়ে গঠিত এসব মাদক সিন্ডিকেট। যারা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে মাদক সংগ্রহ করে নিজেরা সেবন করে এবং বিভিন্ন গোপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মাদকসেবীদের কাছে পৌঁছে দেয়।

এমনই এক মাদক সম্রাট হলেন ৪৪ ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাব্বির হোসেন নাহিদ। শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাহিদ রফিক জব্বার হলের ২০২ নম্বর কক্ষ থেকে ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। চারজনের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষটি একাই দখল করে আছেন বেশ কয়েক বছর। কক্ষটি তিনি ব্যবহার করেন মাদকের নিরাপদ সেবন কেন্দ্র হিসেবে। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিমেল রহমান। তিনি একই হলের ২১৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান করেন।

হলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা ছাড়াও ঢাকা থেকে প্রতিদিন মাদক সেবন করতে আসে ৮-১০ জন বহিরাগত। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি ইয়াবার মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও নিরাপদে মাদক সেবন করা যায়। এ কারণে নাহিদের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে প্রতিটি ক্রয় করে কক্ষেই সেবন করে মাদকসেবীরা। নাহিদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

মওলানা ভাসানী হলের মাদক কারবার দেখাশোনা করেন শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয় ও সাংগঠনিক সম্পাদক ৪৩ ব্যাচের জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আরশাদ হোসেন আবির। জয় ভাসানী হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে এবং আবির একই হলে অবস্থান করেন। জয় ও আবির উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের কাছের লোক।

মেহেদি হাসান জয় ও সাব্বির হোসেন নাহিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ছাড়াও চাঁদাবাজি ও মারধরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। পরবর্তী সময়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের তদবিরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাহিদ বলেছেন, ‘কেনাবেচা দূরের কথা, আমি মাদক সেবনও করি না। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। ছাত্রলীগ সহসভাপতি হিসেবে অনেকেই আমার কাছে আসে। তবে কেউ মাদকের জন্য আমার কাছে আসে না।’ আরেক অভিযুক্ত মেহেদি হাসান জয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট শাহেদ রানা বলেন, ‘হলে কোনো মাদক সিন্ডিকেটের বিষয়ে আমার জানা নেই। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (৪১তম ব্যাচ) সাবেক শিক্ষার্থী আরমান খান যুবর নাম ভাঙিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে অনেকে। যুবর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের মারধরসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার মাদকসেবন ও অপরাধের সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৪২ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন। আরাফাত বর্তমানে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মাদক কারবার করেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালে যুবর বড়ভাই আল নাহিয়ান খান জয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পরই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যুব। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও ছয় বছর প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের মধ্যে কেউ যুবর কথার বাইরে গেলেই সেখানে নিয়ে নির্যাতন চালাতেন তিনি। যদিও ভয়ে অভিযোগ করতেন না ভুক্তভোগীরা। তবে গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনকে নির্যাতনের পর যুবর অপকর্মের বিষয়টি সামনে আসে। সবশেষ গত সপ্তাহে ওই কক্ষে তালা দিয়েছে হল প্রশাসন।

এ বিষয়ে মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট সায়েম আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১২৬নং কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে। মাদকের সঙ্গে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’

কামালউদ্দীন হলের ইয়াবা ও হেরোইন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ৪৪ ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তানভীর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৪৫ ব্যাচের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম শিমুল এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ৪৬ ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মেহেদি হাসান রিফাত। ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেলেও তানভীর পলিটিক্যাল ব্লকের দুই সিটের ২২৪নং কক্ষ, শিমুল ব্লকের ২৪৯নং কক্ষ এবং রিফাত ২২৫নং কক্ষ একাই দখল করে থাকেন। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী।

পোষ্য কোটায় ভর্তি শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের নিয়ম না থাকলেও ছাত্রলীগের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে হলে থাকেন শিমুল। তার বিরুদ্ধে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের আরফিন আলম সানিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন ভুক্তভোগী।

হলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই সিন্ডিকেটের মাদক সরবরাহকারী হলেন ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও তিনি আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের ২১৪নং কক্ষে থাকেন। তবে এ কক্ষটি মূলত ২০১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মচারীর আত্মীয়কে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে বহিষ্কৃত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী সঞ্জয় ঘোষ এবং একই ব্যাচের সুমনের দখলে রয়েছে। কিন্তু তারা কেউই নিয়মিত হলে থাকেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিন্ডিকেট সভায় অছাত্রদের হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ ফেব্রুয়ারি হলে হলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতে হল প্রভোস্টের নেতৃত্বে অভিযান চালালে এ মাদক সরবরাহকারীকে নিয়ে দৌড়ে পালাতে দেখা যায় কয়েক ছাত্রলীগ নেতাকে। পরবর্তী সময় হল প্রশাসন ২১৪নং কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।

তবে মাদক-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে তানভীর বলেন, ‘আমি দুই মাস ধরে পরীক্ষা আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। এসব অভিযোগ কেন আসছে বুঝতে পারছি না।’ আর শিমুলের ভাষ্য—‘আমার বিরুদ্ধে অপরাজনীতি হচ্ছে। আমি এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’ মেহেদি হোসেন রিফাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে প্রকাশ্যে বহিরাগত ও শিক্ষার্থীরা মাদক সেবন করে। তারা ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আমরা কিছু করতে পারি না। ছাত্রলীগের কাউকে ধরলে সিনিয়র নেতারা আমাদের ফোন দিয়ে ছেড়ে দিতে বলে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মাদক গ্রহণ করে কি না সেটি দেখভাল করার দায়িত্ব প্রক্টরের। বহিরাগত কেউ ছদ্মবেশে মাদক সাপ্লাই দিতে ক্যাম্পাসে এলে আমরা বুঝতে পেরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তবে অপরাধে জড়িত কাউকে আটকালে ছাড়িয়ে নিতে ক্যাম্পাসে লোকজনের সুপারিশের অভাব হয় না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সিন্ডিকেট সম্পর্কে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স। কে কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সেটি বিবেচনা করব না। কাউকে হাতেনাতে ধরতে পারলে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুতার মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিবিরের লিখিত অভিযোগ

সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু ঘিরে সামনে এলো ‘ভিডিও’, বাড়ছে রহস্য

শোবিজে হেনস্তার শিকার, অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন আলিজাহ

এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, সিদ্ধান্ত আজ

চাকরি দিচ্ছে ওয়ান ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা

তিন মাস পর সুন্দরবন উন্মুক্ত, খুশি জেলে-দর্শনার্থী

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পুতিনের মন্তব্য

সুদানে এক গ্রামে ভূমিধসে প্রাণহানি ১ হাজার, বেঁচে রইলেন মাত্র একজন

ঢাকায় আসছেন টিআই চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ

১০

আজ ২৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যে জেলায়

১১

আজ সাত দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

১২

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

১৩

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৪

২ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা থেকে ৩৫ ব্যক্তি অব্যাহতি পাচ্ছেন 

১৬

সকাল ৯টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায় 

১৭

‘কার্টা ব্লু’ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্ক করল ইতালি

১৮

যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ড. মুজিবের ছেলের বিয়েতে সস্ত্রীক তারেক রহমান 

১৯

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত, হেফাজতের শোক ও সহায়তার আহ্বান

২০
X