মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিরোপা নেওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাইফউদ্দিনকে ডেকে নিলেন তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টজুড়ে পুরো দলকে যেভাবে এক করে রেখেছিলেন; শিরোপা জয়ের পরও সবাইকেই একসঙ্গে রাখলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সম্প্রচার চ্যানেলে কথা বলার সময়ও মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে সঙ্গেই রেখেছিলেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক। অথচ এই দলকে নিয়েই এক সময় বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বুনেছিলেন তামিম। নানা কারণে সেটা আর হয়নি। ঝুলে আছে তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎও। আর কি কখনো ফেরা হবে? সেসব প্রশ্নের কূটনৈতিক উত্তরই দিলেন বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাট হাতে চারশর বেশি রান করে হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। গতকাল ফাইনালের পর তার সংবাদ সম্মেলনের বিশেষ অংশগুলো কালবেলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
শিরোপা জয় ও উৎসর্গ?
অবশ্যই যে কোনো শিরোপা জেতা দারুণ ব্যাপার। তবে এবার একটু ভিন্ন কারণ ছিল। কারণ, আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল তরুণদের মধ্যে মিরাজ, সৌম্য বা অভিজ্ঞদের মধ্যে রিয়াদ ভাই, মুশফিক—ওরা লম্বা সময় ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু ওরা এই (বিপিএল) ট্রফিটা কখনো পায়নি। তাই আমি জানি মিরাজ, সৌম্য, তাইজুল তাদের সামনে অনেক সময় আছে অনেক ট্রফি জেতার। আমি জানি না রিয়াদ ভাই ও মুশফিক ভাই (কতদিন খেলবেন)। যেভাবে তারা পারফর্ম করেছেন, হয়তো চালিয়ে যাবেন। অন্যদের মতো এত নয়। এই কারণে প্রেজেন্টেশনের সময় ওদের নিয়ে গিয়েছি। কারণ, তারা জেতার কাছাকাছি আগেও গিয়েছিল। এটা আসলে চ্যালেঞ্জ ছিল, তবে খুশি।
পারফরম্যান্সে কাউকে জবাব?
যদি এভাবে ভাবতাম যে জবাব দিতে হবে, তাহলে হয়তো ভালো করতে পারতাম না। আমি জিনিসটাই ভাবিনি যে জবাব দিতে হবে। আমার ক্যারিয়ার যদি তিন বছরের হতো, তাহলে হয়তো বা চিন্তা করতাম জবাব দিতে হবে। আমি কি করেছি না করেছি সবাই দেখেছে। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করা। আমাদের দলের পরিবেশ ছিল অবিশ্বাস্য। আমরা ভাগ্যবান যে বিদেশিরা ভালো খেলোয়াড় তো বটেই, তারা ভালো মানুষ ছিল। আমরা প্লে-অফে আসতে পারব কি পারব না, তা নিয়ে নিজেরাও শঙ্কায় ছিলাম, কিন্তু দলের পরিবেশের কারণে এটা করতে পেরেছি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে আলোচনা?
না! আমার সঙ্গে তার কোনো কথাবার্তা হয়নি। আমার সঙ্গে জালাল ভাইয়ের কথা হয়েছে। আমি কথা বলার জন্য এভেইলেবল ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। কিন্তু আমাদের যোগাযোগ আছে। আমি আগামীকাল সকালে আবার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছি। আশা করি, আসার পর আবার আমরা বসব। একটা জিনিস পরিষ্কারভাবেই আপনাদের বলতে চাই—আমার জন্য ফিরে আসা অনেক কিছু ঠিক হতে হবে। নয়তো শুধু এসে খেলার কোনো পয়েন্ট নেই। কারণ, আমি ক্যারিয়ারের এমন জায়গায় আছি, হয়তো দুই বছর খেলব। ওই কথাগুলো উনাদের সঙ্গে বলতে হবে।
বিশ্বকাপের আগে ও এখনকার পরিস্থিতিতে তামিম?
ফিজিক্যালি আমি ওই সময় আরও ভালো ছিলাম। এখন তো একটু পেট বের হয়েছে দেখতেছেন (হাসি)। শারীরিকভাবে আমি ওই সময় আরও ভালো অবস্থায় ছিলাম।