স্বামীর অবৈধ অর্থে রাজধানী ঢাকা ও মানিকগঞ্জে একাধিক প্লট কেনার পাশাপাশি নিজস্ব জমিতে বাড়ি করছেন এক সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার স্ত্রী। আর সন্তানদের নিয়ে তারা বর্তমানে থাকছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক তদন্তে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের ওই কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর নামে সংস্থাটি মামলা করেছে।
গত বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা মামলাটি করেন। অভিযুক্তরা হলেন কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মনজুর আলম ও তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার।
জানা যায়, প্রাথমিক তদন্তে ডিবি কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এরপর মামলার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমতি দেওয়া হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৯১৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ দম্পতি তাদের সন্তান নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। নার্গিস একজন পৃথক আয়কর দাতা। তিনি মৎস্য এবং হস্ত ও কুটির শিল্পের ব্যবসার কথা তথ্যবিবরণীতে উল্লেখ করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট সম্পত্তি থাকার কথা ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার। তবে অনুসন্ধানে তার মোট ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পদ পায় দুদক।
ফলে নার্গিস ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬১৬ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, নার্গিসের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ঢাকার সাভারের গেন্ডা মৌজায় ১৩.৫০ শতাংশ কৃষি নাল জমি, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আয়নাপুর মৌজায় ৫.৫০ শতাংশ নাল জমি, ঢাকার মিরপুরের পাইকপাড়া মৌজায় ৪ কাঠা নাল জমি, সেখানে নির্মাণাধীন ভবন এবং ডাচ-বাংলা ও এবি ব্যাংকে ১২ লক্ষাধিক টাকার স্থিতি।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব সম্পদ নার্গিস তার নিজের নামে অর্জিত দেখালেও মূলত এগুলো তার স্বামীয় অর্থে কেনা। তিনি নথিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যবসা দেখালেও বাস্তবে তার ব্যবসার আয়ের কোনো রেকর্ডপত্র, ভাউচার, হিসাবপত্র পাওয়া যায়নি।