আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে জেলা শহর থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমরা বলছি, আমরা পৌর আওয়ামী লীগ। আমরা মূল স্রোত। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না, ঠাকুরগাঁওয়ে আপনাদের ঠাঁই হবে না। ওই রমেশ সেনকে রুহিয়া থেকে টিটো দত্তই
ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে আসছেন। আবার বিদায় করে দেব। রাত ৩টা বাজলেও টিটো দত্তকে পাওয়া যায়। আর উনি এমন নেতা কলিংবেল বাজলেও তাকে পাওয়া যায় না। গত রোববার সন্ধ্যায় শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী অরুনাংশু দত্ত টিটোর নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তার দেওয়া বক্তব্যের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের উদ্দেশে কাইয়ুম চৌধুরী আরও বলেন, জীবনে তো ভোট করেননি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেননি কারও সঙ্গে। ওই অটোপাস এমপি সবাইকে হুমকি দিয়ে পৌর কাউন্সিলরদের বিভ্রান্ত করেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রুহিয়া থানা এলাকায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নানা পেশা-শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়। রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এমপিকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে ।
জানতে চাইলে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এমপি যেভাবে পক্ষপাতিত্ব করছেন, তা মোটেও কাম্য নয়। তাই মনের ক্ষোভ থেকেই এসব বলেছি। যেহেতু আমরা সবাই একই দলের। তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি কেন পক্ষ নিয়ে কাজ করবেন।
এ ব্যাপারে এমপি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমরা সবাই একই দলের প্রার্থী। আমরা চাই নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। কেউ যাতে নির্বাচনী সভাগুলোতে ভয় প্রদর্শন করতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা রিটার্নিং অফিসারের বিষয়। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এমপিকে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোলায়মান আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।