কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০৪:০৭ এএম
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সুইমিংপুলের মতোই কৃষ্ণগহ্বর!

আইনস্টাইনের তত্ত্বের প্রমাণ
সুইমিংপুলের মতোই কৃষ্ণগহ্বর!

মহাকাশে থাকা ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের আশপাশে নিমজ্জিত অঞ্চল থাকার কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। ১৯১৫ সালে তিনি এক তত্ত্বে এমন তথ্য তুলে ধরেন। এ ঘটনার ১০০ বছরের বেশি সময় পর তার সেই তত্ত্বের প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে বিশেষ ঢালু অঞ্চল রয়েছে। সুইমিংপুলে যেমন ধীরে ধীরে গভীরে যাওয়া যায়, ঠিক তেমনি কৃষ্ণগহ্বরেও নিমজ্জিত অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গেছে। খবর ডেইলি মেইলের।

লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে নিমজ্জিত অঞ্চল আলোর গতিতে তাদের মধ্যে পদার্থকে ত্বরান্বিত করবে। এখন দূরবর্তী কৃষ্ণগহ্বরের এক্স-রে পর্যবেক্ষণ তার সেই তত্ত্বকে সঠিক প্রমাণ করেছে।

আইনস্টাইন জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণগহ্বরের আশপাশে নিমজ্জিত অঞ্চল থাকতে পারে, যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ খুব বেশি। ফলে সেখানে পদার্থ বৃত্তাকার পথ অনুসরণ করতে পারে না।

সম্প্রতি পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ হাজার আলোকবর্ষ দূরের একটি কৃষ্ণগহ্বরকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরে এমন অঞ্চলের খোঁজ পেয়েছেন। সেখানে শক্তিশালী মহাকর্ষীয় শক্তিও রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

কোনো পদার্থ কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্রের দিকে গেলে তা ধীরে ধীরে দিগন্ত নামের এক অঞ্চলে প্রবেশ করে। সেখান থেকে আলো বাইরে আসতে পারে না। শুধু তা-ই নয়, গরম প্লাজমার উজ্জ্বল বলয়ে পদার্থগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আইনস্টাইনের তত্ত্বমতে, কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই শক্তিশালী যে কণাগুলো বাঁকা পথ ছেড়ে সরাসরি কৃষ্ণগহ্বরের গভীরে প্রবেশ করে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণে আলোর গতিতে একটি কৃষ্ণগহ্বরের মুখে পদার্থের নিমজ্জিত হতে দেখেছেন। এর মাধ্যমে আবারও আইনস্টাইনের করা ভবিষ্যদ্বাণীকে সঠিক প্রমাণ করেছেন।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ অ্যান্ড্রু মামারি বলেন, নক্ষত্রের বাইরের প্লাজমা কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্রে প্রবেশের ধরন আমরা বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা একটি কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে এই অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করে আইনস্টাইনের তত্ত্বের প্রমাণ পেয়েছি। কৃষ্ণগহ্বর বেশ অদ্ভুত। সেখানে সাধারণ পদার্থবিদ্যার নিয়ম কাজ করে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এটি কৃষ্ণগহ্বরের গবেষণায় একটি নববিকাশের প্রতিনিধিত্ব করে, যা আমাদের সেগুলোর চারপাশের এ চূড়ান্ত অঞ্চলটি তদন্ত করার অনুমতি দেয়। তবেই আমরা মহাকর্ষীয় শক্তিকে পুরোপুরি বুঝতে পারব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পের ঘটনায় ঢাবিতে রোববারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

মার্কিনিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিপদে ইসলামিক সংস্থার প্রধান

সাভারে পালিয়ে থাকা জামালপুরের আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

কামিন্সের পরামর্শেই ওপেনিংয়ে নামেন হেড

তারেক রহমান সঠিক লোকের হাতেই প্রতীক তুলে দিয়েছেন : ড. এমএ কাইয়ুম

ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন পাঞ্জাবি গায়ক

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা / বিমা আইন সংশোধনের আগে আইডিআরএর সংস্কার প্রয়োজন

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ছিন্নমূল বৃদ্ধাদের নিয়ে দোয়া মাহফিল

ফিকশন বিভাগে রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাহিতুল ইসলাম

‘সুযোগ হাতছাড়া করায় ভীষণ হতাশ জয়-মুমিনুলরা’

১০

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে টেলিকমসহ সব নীতিমালা রিভিউ করবে : আমির খসরু

১১

বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় সংঘর্ষ

১২

৮০০ বছর ধরে শক্তি জমছে নরসিংদী অঞ্চলে, বড় ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা

১৩

বাংলাদেশিদের আপ্যায়নে আবেগাপ্লুত সাদিও মানে

১৪

পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালালেন রবিন

১৫

প্রাইম ইউনিভার্সিটির ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

১৬

নির্বাচন না হলে দেশে সংকট দেখা দেবে : জামায়াত আমির

১৭

দল থেকে সুখবর পেলেন বিএনপির ১০ নেতা

১৮

অ্যালকালাইন ওয়াটার আসলে কতটা উপকারী

১৯

শক্তিশালী পিঠ বানানোর আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম : সামান্থা

২০
X