

সৌদি আরবে নতুন ঠিকানায় গিয়ে ফুটবল নয়—মানুষের হৃদয়ই সাদিও মানেকে সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের নিঃস্বার্থ আতিথেয়তা দেখে লিভারপুলের সাবেক তারকা একরকম অভিভূতই হয়ে পড়েছেন। রিও ফার্ডিনান্ডের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলাপচারিতায় সেই অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন আল নাসর ফরোয়ার্ড।
ইউরোপে দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে সৌদিতে ক্যারিয়ার চালিয়ে যাচ্ছেন মানে। মুসলমানপ্রধান দেশে রমজানের এক সন্ধ্যায় ঘটে যায় তার জীবনের অন্যতম মানবিক মুহূর্ত। রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎই কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে ইফতারের দাওয়াত দেয়।
মানের ভাষায়, ‘আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছিলাম। এখানকার মানুষগুলো অবিশ্বাস্য রকম অতিথিপরায়ণ।’
প্রথমে আমন্ত্রণ এড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তিনি তো অপরিচিত—কীভাবে তাদের সঙ্গে বসে খাবেন? কিন্তু সেই অচেনা বাংলাদেশিরা আরও আন্তরিকভাবে তাকে ডাকতে থাকেন।
হেসে মানে ফার্ডিনান্ডকে বলেন, ‘আমি মজা করে বলেছিলাম—তোমরা তো আমাকে চেনো না। আমি কীভাবে তোমাদের সঙ্গে খাই? কিন্তু তারা বলল, এতে কোনো সমস্যা নেই। আবারও আমাকে ডেকে তারা আমাকে সত্যিই বিস্মিত করেছে।’
ফার্ডিনান্ড জানতে চান—তারা কি মানেকে চেনার কারণেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল? উত্তরে মানের সরল স্বীকারোক্তি, ‘না, তারা জানতোই না আমি কে। শুধু তাদের উদারতা, খাবার ভাগাভাগি করার ইচ্ছা আর একসঙ্গে থাকার সংস্কৃতি আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে।’
খ্যাতির বাইরে দাঁড়িয়েও একজন মানুষ হিসেবে যে সম্মান ও ভালোবাসা পাওয়া যায়—বাংলাদেশিদের সেই মানবিক আচরণই এখনো ভোলেননি সাদিও মানে।
মন্তব্য করুন