অধিনায়কের পদের একটা ভার আছে। সাধারণত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেই তিনি মাথা ঘামান। সাধারণ ক্রিকেটারের মতো পানি টানতে তাকে দেখা যায় না। বুধবার ওমানের বিপক্ষে ম্যাচে পানি নিয়ে মাঠে ঢুকেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্স। দুর্বল ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ হওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে বিশ্রাম দিয়েছিল।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সৌরভ গাঙ্গুলীকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে পানি নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তখন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন। সৌরভ কথা শোনেনি। সেই সফরের পর তার স্পোর্টিং মেন্টালিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন। সেই ঘটনা নিয়ে পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সৌরভ। এই ঘটনা বলার কারণ কামিন্সের উদারতা বোঝানোর জন্য। তিনি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে শুধু ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতেননি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছেন। তবু সতীর্থদের জন্য পানি টেনেছেন। এটা ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। সবাই কামিন্সের স্পোর্টিং মানসিকতার প্রশংসা করছেন। কামিন্সের ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’-এর প্রশংসা করেছেন ধারাভাষ্যকাররাও। ওমানের বিপক্ষে প্রথম একাদশে ছিলেন না কামিন্স। তার পরিবর্তে খেলছিলেন নাথান এলিস। খেলা চলাকালীন দেখা যায়, কামিন্স পানির বোতল এবং তোয়ালে হাতে নিয়ে ছুটে ঢুকে পড়লেন মাঠে। তারপর দৌড়ে চলে গেলেন সতীর্থদের কাছে। কামিন্সের ভূমিকা দেখে প্রথমে অবাক হয়ে যান ধারাভাষ্যকাররাও। যদিও সতীর্থদের তেষ্টা মেটাতে পেরে খুশি কামিন্স। আসলে পানি টানা বা ঘাম মোছার তোয়ালে এগিয়ে দেওয়া ছিল বাহানা। তিনি খেলার পরিস্থিতি বিচার করে খেলোয়াড়দের বিশেষ কিছু টিপস বা পরামর্শ দেওয়ার জন্য ঢুকেছিলেন। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক নন। অজি দলের অধিনায়কত্ব করছেন মিচেল মার্শ। কামিন্সের মাপের খেলোয়াড়দের সাধারণত এভাবে দেখতে অভ্যস্ত নন কেউই। কিন্তু ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটে। তবু কামিন্স বাহবা পাচ্ছেন, কারণ তিনি এর আগেও সতীর্থদের সঙ্গে খুব বিনীত আচরণ করে প্রশংসা পেয়েছিলেন।