গরমে খাবার বা কোরবানির পর মাংস বোঝাই করে রাখলে অনেক সময় দেখা যায় উল্টোপাল্টা আচরণ করছে ফ্রিজটা। দেখা গেল পর্যাপ্ত ঠান্ডা হচ্ছে না বা ফ্রিজেও জমছে না বরফ। ফ্রিজ ব্যবহারের আদব-কেতা জানাচ্ছেন মারজান ইমু
l খাবার দীর্ঘদিন জীবাণুমুক্ত রাখতে ফ্রিজ সঠিক তাপমাত্রায় রাখা জরুরি। ফ্রিজের সাধারণ অংশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখুন। আর ডিপের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
l ফ্রিজে কখনোই গরম খাবার রাখবেন না । এ ছাড়া কোরবানির মাংস বাড়িতে আনার পর পানি দিয়ে রক্ত ও ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। রক্তসহ মাংস ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটবে। সরাসরি মাছ বাজার থেকে এনেই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। মাছ কেটে টুকরো করে পরিষ্কার করে নিন আগে।
l ফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ জমা স্বাভাবিক। কোনো কারণে অতিরিক্ত বরফ তৈরি হলে তা পরিষ্কার করতে হবে। চামচ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
l পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে না পারলে ফ্রিজের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। ফলে খাবার সহজে নষ্ট হতে পারে। অতিরিক্ত খাবার গাদাগাদি করে রাখবেন না। এতে কিছু খাবারের তাপমাত্রা কমার সুযোগ পায় না।
l ফ্রিজের দরজা বেশিক্ষণ খোলা রাখবেন না। প্রয়োজন শেষে দ্রুত বন্ধ করুন। কারণ বাইরের বাতাসের অধিক প্রবেশের জন্যও ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে ফ্রিজ খোলার আগে ঘরের ফ্যান বন্ধ করে নিলে ভালো হয়।
l মাসে একবার সুইচ অফ করে ভেতরের সব জিনিস বের করে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
মন্তব্য করুন