ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দেশের উন্নয়নে অবদান যেমন বেশি, তেমনি প্রত্যাশাও বেশি; কিন্তু মূলধন কম। আমরা যেহেতু জাতীয় বাজেটের অন্তর্ভুক্ত নই, প্রতি বছর সব প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকে; কিন্তু আমরা একেবারেই পাই না। সরকার চাইলে এ শিল্পের বিকাশে প্রতি বছর অন্তত থোক বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারে, যা দেশের প্রয়োজনেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে ব্যয় হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার কালবেলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের আর্থিক সক্ষমতা খুবই কম, প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সরকার ‘অ্যানডাউমেন্ট ফান্ড’ হিসেবে ২০০ কোটি টাকা ও পরবর্তী সময়ে করোনাকালীন সময়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এই সর্বমোট ৫০০ কোটি টাকার তহবিলেই আমাদের চলতে হয়, বিশাল সেবাপ্রত্যাশীদের সেবাও প্রদান করতে হয়। এটি এই খাতের জন্য অপ্রতুল ও বৃহৎ সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদান দুঃসাধ্য। প্রতি বছরই বাজেট বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানাচ্ছি; কিন্তু বিফল হতে হয়।
এসএমই খাতের নানান সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ খাতের বিকাশের জন্য অর্থপ্রবাহ চালু রাখা অপরিহার্য। এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারের আরও বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। এটা এক ধরনের বিনিয়োগের মতো, যত বিনিয়োগ হবে ততই এসএমই খাতের বিকাশ হবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। এই খাত কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, এজন্যই এসএমই খাতে গুরুত্বসহকারে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
এই খাতের উন্নতির জন্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সামর্থ্যের উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বাজার সংযোগ ও এক্সেস টু ফাইন্যান্স বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি বলেন, মূলধন জোগান দেওয়া, তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির মূল স্রোতে আনা।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্যোক্তাদের সংখ্যা শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি। রাজধানী থেকে বসে তাদের সেবা দেওয়া বাস্তবে একটু কঠিন, তবু এ কঠিন কাজটিই আমরা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে নিদেন পক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মক্ষেত্র প্রসারিত করার প্রস্তাব রয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা সেবা নিতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তা বিশেষ করে নারীদের মাঝে সেবা ছড়িয়ে দিতে হলে অবশ্যই কর্মকাণ্ড প্রসার করতে হবে।
মন্তব্য করুন