নাগরিক জীবনে মানুষের সমস্যা-সংকট অন্তহীন। এর মধ্যেই তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা সম্ভব—এমন সমস্যা বা সংকটগুলোর সমাধানে গণশুনানির মতো কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানও মিলছে বলে জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।
জানা যায়, আধুনিক জনপ্রশাসনকে আরও গতিশীল-জনমুখী করতে জনগণের সমস্যা, সম্ভাবনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে গণশুনানির আয়োজন করা হয়। এসব গণশুনানিতে বিশেষ করে, ভূমি-সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতাসহ দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত নানা সমস্যা নিয়ে সপ্তাহে যে কোনো দিনে অফিস চলাকালে জনসাধারণ জেলা প্রশাসকের শরণাপন্ন হন। প্রশাসনকে জনবান্ধব প্রশাসনে রূপ দিতে গণশুনানিতে জনসাধারণের অভিযোগ ও বক্তব্য শুনে জেলা প্রশাসক তাদের সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ছাড়া নিয়মিত সপ্তাহের প্রতি বুধবার সম্মেলন কক্ষে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসন: গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। বিলুপ্ত হয়ে যায় স্কুল পরিচালনা কমিটিগুলো। এ সময় জেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এসব সমস্যা নিরসন করা হয়। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মোট ৪১১টি প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও যথা নিয়মে এডহক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোয় শৃঙ্খলা ফিরে আসে, চলমান থাকে লেখাপড়া। অন্যদিকে ৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যাক্ষ নিয়োগ, কর্মচারী (অফিস সহকারী, সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তাকর্মী, প্রহরী) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিনিধি মনোনয়নের মাধ্যমে নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে আসে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া পরিবর্তিত অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিক্ষা বোর্ড, বিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এবং সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে মাঠপর্যায়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়।
মন্তব্য করুন