তরুণদের বন্ধুত্ব, স্বপ্ন আর সংগ্রামের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘উড়াল’। এটি নির্মাণ করেছেন নবাগত পরিচালক জোবায়দুর রহমান। তিন বন্ধু ও এক তরুণীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রান্তিক এই গল্পে দেখা যাবে তারুণ্যের বন্ধন, আবেগ ও সংকটের চিত্র। পুরো সিনেমাতেই কাজ করেছে একদল নতুন মুখ, যাদের জন্য ‘উড়াল’ হতে যাচ্ছে বড় পর্দায় প্রথম আত্মপ্রকাশ।
২০২৩ সালে শুরু হওয়া ‘উড়াল’-এর শুটিং এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার এক ঝলক প্রকাশ করা হয়েছে, যা নিয়ে কালবেলাকে নির্মাতা জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘মুক্তির তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ঈদের পর উপযুক্ত সময় বুঝে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে আশা করছি। এ ছাড়া আগামী বন্ধু দিবস উপলক্ষেও মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এরপর নতুন অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার কারণ হিসেবে নির্মাতা বলেন, ‘সিনেমার চরিত্রগুলোকে যেন দর্শক নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি মনে না করে সেই চরিত্রকে উপভোগ করে, সেজন্য চরিত্র উপযোগী অভিনেতাদের নেওয়া হয়েছে। পরিচিত শিল্পী হলে চরিত্রের পরিবর্তে দর্শক তারকাকেই বেশি দেখে, সে কারণে নতুন মুখ নেওয়া হয়েছে।’
এ সিনেমার মাধ্যমে প্রযোজনায় অভিষেক হচ্ছে অভিনেতা ও শিক্ষক শরীফ সিরাজের। চিত্রনাট্য লিখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আবদুল হালিম প্রামাণিক। এতে অভিনয় করেছেন মাহাফুজ মুন্না, সোহেল তৌফিক, শান্ত চন্দ্র সূত্রধর, কাব্যকথা, কে এম আবদুর রাজ্জাক, কবরী দাশ, রোশেন শরিফ, মীর সরওয়ার আলী মুকুল প্রমুখ। অডিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা তরুণ-তরুণীদের। সিনেমাটির শুটিং হয়েছে সৈয়দপুর, পার্বতীপুর ও নড়াইলে। স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ছবিটি।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মাতা আরও বলেন, ‘নতুনদের নিয়ে কাজ করায় শুরুতে কিছুটা সময় লেগেছে পুরো প্রক্রিয়া বোঝাতে। বাজেটও ছিল সীমিত। তবে সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। একসঙ্গে থেকেছেন, একসঙ্গে খেয়েছেন—এই বন্ধনটাই আমরা পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছি।’
সিনেমাটির গল্প যেমন বন্ধুত্বের, তেমনি বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার প্রতিফলনও এতে দেখা যাবে। নির্মাতা আশাবাদী, দর্শকের ভালোবাসা পেলে ‘উড়াল’ হবে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
মন্তব্য করুন