জুলাই মাসের জন্য জ্বালানি তেলের মূল্য অপরিবর্তিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (২৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের জন্য ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১০২, কেরোসিন ১১৪, পেট্রল ১১৮ এবং অকটেন ১২২ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই দাম ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গত বছরের মার্চ থেকে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। এই নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসেই নতুন মূল্য ঘোষণা করা হচ্ছে। একইভাবে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)-এর মূল্যও নির্ধারণ করছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেলের মাধ্যমে। ডিজেল মূলত কৃষি সেচ, পরিবহন খাত এবং জেনারেটর চালনায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এর আগে গত ৩১ মে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য হালনাগাদ করে। ওই সময় ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১০৪ থেকে ২ কমিয়ে ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ এবং পেট্রলের দাম ১২১ থেকে ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১০৪ থেকে ১০ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। এসব দাম ১ জুন থেকে কার্যকর হয়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাসেই মূল্য সমন্বয় করে জ্বালানি বিভাগ। এর আগেও, মে মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১০৫ থেকে কমিয়ে ১০৪ টাকা করা হয়। অকটেন ও পেট্রলের দামও ১ টাকা করে কমিয়ে যথাক্রমে ১২৫ এবং ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য অপরিবর্তিত ছিল। এরও আগে, ফেব্রুয়ারিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৪ থেকে ১০৫, অকটেন ১২৫ থেকে ১২৬ এবং পেট্রল ১২১ থেকে ১২২ টাকা করা হয়।
মন্তব্য করুন