দেশের পুঁজিবাজারে স্থানীয় ও বিদেশি বড় কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে চাইছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় জনস্বার্থ সংস্থাগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার আইনি কাঠামো পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। বিএসইসির ওই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডিবিএ থেকে পাঠানো এক বার্তায় সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এই সাধুবাদ জানান।
একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সেক্রেটারি) খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
গণমাধ্যমে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় ডিবিএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে ভালো কোনো কোম্পানি আসেনি। ভালো কোম্পানির অভাবে আমাদের বাজারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর তেমন উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ঘটেনি এবং এর ফলে বাজার স্থিতিশীল ও টেকসই হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের দাবির প্রতিফলন দেখতে পেয়ে ডিবিএ আশান্বিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রয়োজন উপলব্ধি করি। এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিএসইসি, ডিএসইসহ বাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পত্র যোগাযোগসহ বৈঠক করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে অসংখ্য সেমিনার ও ডায়ালগ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, ডিএসইসহ অন্যান্য অংশীজনদের নিকট বাজার উন্নয়ন বিষয়ক দাবির স্বপক্ষে বক্তব্য ও যুক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাই। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখতে পেয়ে আশান্বিত হই। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে এর বাস্তবায়নে বিএসইসির কার্যকর পদক্ষেপ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার প্রতিফলন ইতোমধ্যে বাজারে ফুটে উঠেছে।
অভিনন্দন বার্তায় সংগঠনটি আরও জানায়, ‘দেশি-বিদেশি বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে দেশের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গৃহীত বিএসইসির সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে দৃঢ় আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করি দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে দেশের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ ও আশু বাস্তবায়ন বাজারে পণ্যের আধিক্য সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আমাদের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী বাজারে পরিণত করবে।’
পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে বিএসইসি কর্তৃক গৃহীত সব ইতিবাচক উদ্যোগ, কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে ডিবিএর সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলেও জানানো হয় বার্তায়।
মন্তব্য করুন