কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডাকসু নির্বাচনে ‘আবিদুলের জনপ্রিয়তা’ নিয়ে কথা বললেন সামান্তা

সামান্তা শারমিন ও আবিদুল ইসলাম খান। ছবি : সংগৃহীত
সামান্তা শারমিন ও আবিদুল ইসলাম খান। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন বানচালের একটি সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছে এবং এটা কোথা থেকে চলছে সেটাও তারা বুঝতে পারছেন।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সামান্তা বলেন, ‘আমরা দেখলাম- ছাত্রদলের মনোনীত ভিপি প্রার্থী (আবিদুল ইসলাম খান) খুবই জনপ্রিয়। তারপর দেখলাম তার বিরুদ্ধে সমালোচনাও শুরু হলো। এটা কিন্তু একটি আশঙ্কা তৈরি করে যে ছাত্রদলের হয়ে ভিপি প্রার্থী (আবিদুল) নির্বাচনে জিতবে কিনা। সম্ভবত বিএনপির মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, তারা পরাজিত হতে যাচ্ছে।’

সামান্তা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে একটি অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করা হতে পারে। এর ফলে ভোটার উপস্থিতি কমে গেলে তার দায় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানোর সুযোগ তৈরি হবে।’

ডাকসু নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন বানচাল বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং জাতীয় নির্বাচনের দাবি যারা করেন, তাদের উচিত ডাকসুতে অংশগ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করা। যদি তারাই ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তা তাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

এনসিপির এই নেত্রী আরও অভিযোগ করেন, ‘কিছু মহল হুমকি দিচ্ছে যে, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এমনকি তথাকথিত প্রগতিশীল ছাত্রদেরও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।’

তিনি অতীত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করতে কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় ভূমিকা রেখেছে। এবারও যখন রিট করা হলো, তখন রিটকারীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর ব্যাকগ্রাউন্ড প্রশ্নবিদ্ধ।’

এদিকে, গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিলেও, পরে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে। সর্বশেষ ৩ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিয়ানার কাছে মাতৃত্বই এখন প্রাধান্য

হচ্ছে না সিন্ডিকেট, বাকৃবিতে হল বন্ধের নোটিশ বহাল

চার দিনেও জ্ঞান ফিরেনি ইমতিয়াজের, মামুনকে কেবিনে স্থানান্তর

ম্যানেজিং কমিটিতে থাকলে এমপি প্রার্থী নয়

ইউআইইউতে স্কিন’ও বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অনুষ্ঠিত

২২০ টাকায় মিলল পুলিশে চাকরি

মুসাদ্দিককে হত্যা করতে চেয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

ঘরে মৃত মানুষের ছবি টানানো যাবে কি? যা বলছে হাদিস

ব্যাট হাতে লিটনের ঝড়ের পর বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা

ছাত্রদলের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে / ধরা পড়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র বললেন, ‘আমি রোকেয়া হলে থাকি’

১০

‘নীল ডিম’ পাড়ল মুরগি, হতবাক গ্রামবাসী

১১

একাদশে ভর্তির তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে

১২

পল্টন মোড় অবরোধ গণঅধিকার পরিষদের

১৩

বিশ্বকাপ বয়কটের পথে পাকিস্তান

১৪

মহেশখালীতে কেন গেলেন পিটার হাস

১৫

আবারও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

১৬

নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতিকে যা বললেন রাষ্ট্রপতি

১৭

‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে’

১৮

বাড়ির সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা

১৯

হয়নি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, বিএনপির দুগ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

২০
X