আগামী ১১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান। ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ’ ও ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড অব গভর্নরসের বার্ষিক সভা ২০২৫’-এ অংশ নিতে তিনি এই সফরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তার এ সফরের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এর আগে তিনি নামিবিয়া যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অভ্যন্তরীণ আদেশে জানানো হয়, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান গভর্নর ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১৩-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় সভায় অংশ নেবেন। সফরের পুরো সময়কে দায়িত্বকাল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তিনি তার বেতনভাতা বাংলাদেশি মুদ্রায় গ্রহণ করবেন। সফরের যাবতীয় ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের বাজেট থেকে বহন করা হবে। তিনি ১১ অক্টোবর বা নিকটতম সুবিধাজনক তারিখে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দেশে ফিরবেন। অনুমোদিত সময়সীমার বাইরে বিদেশে অবস্থান করতে পারবেন না বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত আগস্টে সরকারি এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে নামিবিয়া যাওয়ার কথা ছিল ড. হাবিবুর রহমানের। কিন্তু সে সময় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে যাত্রা থেকে বিরত রাখা হয়।
জানা গেছে, ড. হাবিবুর রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। সাম্প্রতিক সময়ে ওই সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও সরকারি-বেসরকারি ২৬ ব্যাংকের এমডি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে দুদক ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, তদন্ত চলাকালে কোনো কর্মকর্তাকে বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া অনুচিত। অতীতে তদন্তাধীন কিছু কর্মকর্তা বিদেশে গিয়ে আর দেশে ফেরেননি। তাই একবার সফর আটকে দেওয়ার পরও এবার ডেপুটি গভর্নরকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবমূর্তিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
মন্তব্য করুন