কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৫ এএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পোশাক কারখানাতে নিয়োগ বন্ধ, মামলার নির্দেশ

বিজিএমইএ ভবন। ছবি : কালবলো
বিজিএমইএ ভবন। ছবি : কালবলো

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্যা সামনে এনে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের সব ধরনের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ।

পাশাপাশি নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরতদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা মালিকদের মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিএমইএর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। সভায় সুনির্দিষ্ট চারটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব কারখানা মালিকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ জানিয়েছে, কোভিড অতিমারী পরবর্তী পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরায়েল- ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে অর্ডার কমে যাওয়া এবং সম্প্রতিককালে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ইত্যাদি জটিল পরিস্থিতির কারণে গত ৯ নভেম্বর বিজিএমইএতে পোশাকশিল্প মালিকদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এসএম মান্নান (কচি), এ ছাড়া অন্যান্য সহসভাপতি ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএর ৪ সিদ্ধান্ত

(১) এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত সব পোশাকশিল্প কারখানাতে সব ধরনের নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকবে। প্রতিটি কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ কথাটি লিখে ব্যানার টাঙিয়ে দিতে হবে।

(২) যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সে সকল কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিকটস্থ থানায় প্রমাণস্বরূপ ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ মামলা রুজু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা রুজু করা যাবে। মামলা করার সাথে সাথে এর একটি কপি মেজর মো. সাইফুল ইসলাম, পিএসসি, সিএসসিএম (অব.), সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব বিজিএমইএর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

(৩) যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ করা থেকে বিরত থাকবে বা কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, সেসব কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৩(১) এর বিধান মোতাবেক কারখানা বন্ধ করে দেবেন।

(৪) যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ (যদি থাকে) অতিসত্বর মো. জাকারিয়া, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট বিজিএমইএর নিকট প্রেরণ করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাড়ল বাস ভাড়া

পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে ক্লিন সিটি : চসিক মেয়র

জুলাই সনদে মিত্রদের ‘কাছাকাছি মতামত’ দেওয়ার পরামর্শ বিএনপির

সন্তানকে বাঁচিয়ে প্রাণ দিলেন বাবা

সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

১০

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

১১

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

১২

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

১৩

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

১৪

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

১৫

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১৬

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১৭

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১৮

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৯

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

২০
X