কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবক্ষয়ে কষ্ট হয় ফরাসউদ্দিনের

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআর‌এফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। ছবি : কালবেলা
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআর‌এফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন বলেছেন, দেশের সবাই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। কিন্তু কেউ অনেক বেশি আবার কেউ একেবারেই কম। আগের তুলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবক্ষয় হয়েছে, সেটার সঙ্গে আমি একমত। আর এটা আমাকে কষ্ট দেয়। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক আমার একটা অঙ্গের মতো।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআর‌এফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর।

ফরাসউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দেশের ঋণ খেলাপি, কর খেলাপি এবং অর্থপাচার একই সূত্রে গাথা। ঋণ পুনঃপুনঃ পুনঃতপশিল করার কারণে ব্যাংকে অর্থের টান পড়েছে। এর জন্য বন্ডের মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। যার ফলে মূল্যস্ফীতি কমছে না। তাই শক্ত হাতে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। এ বিষয়গুলো নীতিনির্ধারকদের বোঝানোর মতো একটা লোক প্রয়োজন।’ কেন যেন অর্থ পাচারের ব্যাপারে সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) নীরব। কিন্তু এটা দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

দেশের এ ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে তিনি বলেন, খেলাপি ওয়ালারা যদি অনেক বড় হয়ে যায় তাহলে সমস্যা। ১০ হাজার টাকার কৃষি ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে তাকে জেলে ঢোকাব, কিন্তু ১০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি হলে তাকে সালাম ঠুকব এটা হতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ঋণগুলো অবশ্যই আদায় করা উচিত।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, কিছু অসাধু খাদ্য কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা কারচুপি করছে। যার ফলে দেশে খাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। তাই চাইলেও সরকার খাদ্য মূল্যস্ফীতি বা ফুড ইনফ্লেশন কমাতে পারছেন না। এক্ষেত্রে সরকারের গুদামের মজুত বাড়ানো এবং বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে স্বস্তি ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এ ব্যাংকার।

ধনী-গরিবের বৈষম্য আগেও ছিল এখনো রয়েছে। তবে ধনী ও গরিবের মধ্যে অর্থের পার্থক্য আগের তুলনায় বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ বৈষম্য কমাতে শুধু অর্থনীতি নয় রাজনৈতিক পদক্ষেপের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, একটি দাতা মুরুব্বির পরামর্শ নিয়ে ৯২ সালে স্বল্প মেয়াদি আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এটাই এখন ব্যাংকের বড় সমস্যা। এসব সমস্যার সমাধানের অনেক পথ রয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুর্বল ব্যাংক একিভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একটি প্রক্রিয়া। তবে এটাই একমাত্র প্রক্রিয়া নয়, আরও বিকল্প রয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতের সার্বিক সমস্যার সমাধানে ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করারও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুগান্তকারী আবিষ্কার গুগল অ্যাস্ট্রা কী?

চিন্তা নেই, হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই

সুপারি গাছের খোলে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক তৈজসপত্র

গরমে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ

আজ আ.লীগের কর্মসূচিতে যা থাকছে

বিশ্বকাপে মোস্তাফিজকে শুভকামনায় কী বলছে চেন্নাই

পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

চেয়ারম্যানের নাম্বার ক্লোন করে টাকা দাবি

আজ সুখবর পেতে পারেন যারা

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে শান্ত-তাসকিনরা

১০

সাতসকালে সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

১১

আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু

১২

গরমে অস্বস্তি, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকায়

১৩

আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৫

আজ যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

১৬

প্রভাবশালী প্রার্থীর পছন্দের প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের অভিযোগ

১৭

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৮

জুমার দিন যেসব আমল করবেন

১৯

নির্বাচনী শোডাউনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু 

২০
X