জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ছাদ থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে’ পলাশ বিশ্বাস (৩২) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সোয় ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, রোগী পলাশ বিশ্বাস গত ৬ মার্চ শ্বাসনালি দগ্ধ অবস্থায় ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। এরপর থেকে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৭ মার্চ ষষ্ঠ তলায় এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার ভোরে তিনি একাই জরুরি বাহির দরজা দিয়ে বের হয়ে লিফটে ১৬ তলার ছাদে চলে যান। সেখান থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে মারা যান তিনি।
ডা. শাওন আরও বলেন, ওই ব্যক্তি গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় একটি ওয়াশিং প্লান্টে কাজ করতেন। সেখানে দুর্ঘটনায় তার শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছিল। সেদিনই তাকে ঢাকায় এনে ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ১১ দিন আইসিইউতে থাকার পর মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তার। বিভিন্ন সময় এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। আজ তার মানসিক চিকিৎসক দেখানোর কথা ছিল।
মৃত পলাশ বিশ্বাসের ছোট ভাই অলোক বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, তাদের বাড়ি মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। বাবার নাম জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস। বর্তমানে গাজীপুর টঙ্গী এলাকায় থাকতেন এবং সেখানে একটি ওয়াশিং প্লান্টে কাজ করতেন। গত ৬ মার্চ সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং এতে তার শ্বাসনালি পুড়ে যায়। এরপর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে পলাশকে বেডে দেখে বাইরে চলে আসেন তিনি। এরপর ভোরে নার্সরা অলোক বিশ্বাসকে জানান, তার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তার ভাই চাঁনখারপুল সংলগ্ন হাসপাতাল ভবনের কম্পাউন্ডের ভিতরে পড়ে আছে। তখন সেখানে গিয়ে ভাই পলাশের মৃতদেহ দেখতে পান তিনি।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জানান, ইনস্টিটিউটের ১৬ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন