‘সত্য, সুন্দর ও সাহস’—এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে নবযাত্রার তিন বছর পেরিয়ে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করেছে দৈনিক কালবেলা। এই উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে দৈনিক কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অতীতে যেমন রাষ্ট্রের কল্যাণে সাহসী দুর্দান্ত কাজ উপহার দিয়ে পাঠকের মন জুগিয়েছে কালবেলা ঠিক তেমনি আগামী দিনেও পরিশুদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে পত্রিকাটি, এমন প্রত্যাশা শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় দৈনিক কালবেলার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে কেক কাটার তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দৈনিক কালবেলার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম।
কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কালবেলার সঙ্গে অঙ্গাআঙ্গীভাবে যারা জড়িত রয়েছেন, সম্পাদক-মালিক থেকে শুরু করে সাংবাদিকবৃন্দ, যারা এর পেছনে শ্রম দিচ্ছেন; সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সত্য প্রকাশে কালবেলা সবসময় নির্ভীক ভূমিকা পালন করুন, এই কামনা করছি। কালবেলার উত্তরোত্তর সাফল্য প্রত্যাশা করছি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, কালবেলা পরিবারের সব সাংবাদিককে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানায়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। কালবেলা আমাদের সংবাদ মাধ্যমে যেই ভূমিকা রেখেছে, ভবিষতে বাংলাদেশ গঠনে তারা একই রকম ভূমিকা পালন করে যাবে বলে মনে করি। তাদের আরও সমৃদ্ধ পদক্ষেপ তারা রাখবে এই আশা রাখি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আজকে কালবেলার এই বর্ষপূর্তিতে আমি যে আসতে পেরেছি, এই জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চলুন, আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিতে তরুণদের মধ্যে যেই চেনতার সৃষ্টি হয়েছে সেটার ভিত্তিতে আগামীদিনে দেশটিকে সম্প্রীতি, সোহার্দপূর্ণ ও আমাদের বসবাসযোগ্য একটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সাংবাদিক বন্ধুদের অতীতে যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন, এখন যেভাবে ভূমিকা রাখছেন, ভবিষ্যতে সেভাবে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, কালবেলার উত্তরোত্তর উন্নতি, সাফল্য কামনা করি। তারা যেভাবে কাজ করছে, আমি মনে করি- ওনারা ওনাদের স্থান বা পর্যায়ে যা কাজ করছেন অবশ্যই তা দেশের জন্য করছেন। এখানে সমালোচনার কিছুই নেই। আর নিউজ আমরা উঠতে হবে, অন্যেরটা কেন উঠল-এটা কোনোদিন নীতি হতে পারে না। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের পত্রিকার লাইন অনুসারে ওনাদের কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। তারা যেভাবেই কাজ করুক, আমি তাদের সফলতা কামনা করি। কালবেলার যারা রয়েছেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কালবেলার পরিবারের সকল কলাকৈশলীকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করি, কালবেলা গণতন্ত্র, উন্নয়নের কথা বলবে। আমি পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সালাউদ্দিন রেজা বলেন, কালবেলার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। কালবেলার চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের সকল নিউজ পত্রিকায় তুলে আনবেন এবং চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমি কালবেলার এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের যেই সার্বিক কাঙ্ক্ষিত মুক্তি সেটা প্রত্যাশা করছি। আজ অবধি গণমাধ্যম কখনোই স্বাধীন ছিল না। এই স্বাধীনতার প্রক্রিয়ায় আপনাদের বিশেষ ভূমিকা আশা করছি। কালবেলার সাফল্য কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে যেই অবিসাংবাদিক নেতার চিত্র আমরা দেখেছিলাম তাদের মধ্যে জননেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী, জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, জননেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন অন্যতম। যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে, হাটে-মাঠের পাশাপাশি ঈদে-পর্বনে একসঙ্গে তারা দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই পরিবেশটি ফিরিয়ে আনার জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমাদের নিউজ দিক বা না দিক, জামায়াতের অফিসে কালবেলা আমরা সবসময় রাখি। মাঝে মাঝে আমাদের বিরুদ্ধেও বলে কালবেলা। শাহজাহান ভাই বলেছেন, আমাদের কোনো দোষত্রুটি পেলে আপনারা যদি সমালোচনা করেন তাহলে আমরা সংশোধন হবো। সেই হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ হিসেবে তো আমরা আর সব কিছু ঠিক করবো না। ফলে আমাদের সংশোধনের জন্য কালবেলা যেই ভূমিকা রাখছেন, এই কারণে আমরা তাদের আগামীতে আরও উত্তরোত্তর সাফল্য ও উন্নতি কামনা করি। আমরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানাই।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানের সকল কলাকৈশলী, সংবাদকর্মী, পত্রিকার পাঠক-দর্শকসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে নিজেদের একদম স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে কালবেলা। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, দেশের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মডেল হিসেবে তার প্রতিষ্ঠান আগামীদিনে তাদের যাত্রাকে সুদৃঢ় করবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও এস এ ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, কালবেলা শুরু থেকেই দেশের স্বার্থে ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও সত্য তুলে ধরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে এই গণমাধ্যম। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অল্প সময়েই পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে কালবেলা। বর্তমানে সাংবাদিকতার আড়ালে যখন অপ-সাংবাদিকতার অনুপ্রবেশ ঘটছে, তখন কালবেলাকে এই প্রবণতা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সমাজে অন্যায়-লুটপাট বা অপরাধ যখনই দেখা দিয়েছে, কালবেলা তখনই নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করেছে। যা দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই আদর্শ ধারণ করেই কালবেলা এগিয়ে যাবে আগামী দিনে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ও আজকের পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সবুর শুভ বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়াসেই একটি পত্রিকার জন্ম হয়। তেমনি একটি মানসিকতা নিয়েই কালবেলার জন্ম হয়েছে, আমরা সেটা বিশ্বাস করতে চাই। আগামী দিনে আমাদের এই সমাজ, রাষ্ট্র-পরিশুদ্ধ একটি সমাজ হবে; এই ক্ষেত্রে কালবেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছি।
২০১৮ সালের চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিম শিকদার বলেন, দৈনিক কালবেলার আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা বিএনপি ও আমার পক্ষ থেকে জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন। দৈনিক কালবেলা চট্টগ্রামে সাংবাদিকতার মাধ্যমে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ভবিষ্যতেও সেভাবে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা রাখছি।
অনুষ্ঠান শেষেও সারাদিন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক কালবেলার চট্টগ্রাম অফিসে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অনেকে। এসময় তারা জানান, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতাকে ধারণ করার নামই সাংবাদিকতা—আর সেই সত্য ও যথার্থতার পথে অবিচল থাকা মানে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। সংবাদ কেবল তথ্য নয়; সংবাদ হচ্ছে সমাজের বিবেক, জাতির স্মৃতি ও ভবিষ্যতের নকশা। দৈনিক কালবেলা তার প্রতিটি পাতায় সেই দায়িত্বকে বহনের স্বাক্ষর রাখবে, এই প্রত্যাশা পাঠকের। পত্রিকাটি তার পাঠকসমাজের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট থেকেছে, এগিয়ে গেছে। কালবেলা আরও সাহসী হোক, আরও সৃজনশীল হোক, আরও সত্যনিষ্ঠ হোক-এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা।
বর্ষপূতির অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহিদুল্লাহ শাহরিয়ার, দ্য ডেইলি স্টারের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শিমুল নজরুল, স্থানীয় দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক আয়ান শর্মা, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সুবল বড়ুয়া, বণিক বার্তার ডেপুটি ব্যুরো চিফ সুজিত সাহা, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার রেজা মোজাম্মেল, বাংলা নিউজ২৪ এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আল রহমান, বাংলা নিউজ২৪ এর স্টাফ ফটো জার্নালিস্ট সোহেল সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার প্রণয় দাশ সানি, দ্য ডেইলি স্টার চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার সিফায়েত উল্লাহ সিফাত, এফ এম মিজানুর রহমান, আবদুর রহমান, বাংলাদেশ বুলেটিনের ব্যুরো প্রধান কামরুজ্জামান রনি, বণিক বার্তার মোক্তার হোসাইন, ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি এস এম ইকবাল হোসাইন, মীরসরাই প্রতিনিধি নুরুল আজহার, চন্দনাইশ প্রতিনিধি খালেদ রায়হান, আনোয়ারা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, হাটহাজারী প্রতিনিধি মো. পারভেজ।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, নহর যুবদল নেতা সাজ্চজাদ হোসেন, চট্টগ্রাম নগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. নাসিম, সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. মিন্টু, সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. ইদ্রিস, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সেলিম, চকবাজার থানা যুবদলের নেতা মো. সাদ্দামুল হক, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল, সাবেক সদস্য সচিব মো. হাসান, চকবাজার ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহবায়ক মো. আবুল হোসেন, যুবদল নেতা সোহেল, রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা অর্জুন কুমার নাথসহ নগর যুবদলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
এদিকে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান, বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু।
শুভেচ্ছা বার্তায় ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, কালবেলা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের পাশে থেকে সত্য প্রকাশ করছে। এটি জনগণের ভাষা ও হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আগে প্রায়ই শুনতাম— ‘সংবাদ প্রকাশে স্বাধীনতা নেই’, কিন্তু এখন কালবেলার মতো প্রতিষ্ঠান সেই স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে, সাহসিকতার সঙ্গে সত্য তুলে ধরছে।
শুভেচ্ছা বার্তায় সাঈদ আল নোমান বলেন, আঁধার পেরিয়ে কালবেলা আজ তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। কঠিন সময় পেরিয়ে আমরা যখন নতুন আশার আলো খুঁজছি, তখন কালবেলা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে সেই আলোর দিশা দেখাচ্ছে। সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কালবেলা সমাজে আস্থা ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, এটাই তার বড় শক্তি।
শুভেচ্ছা বার্তায় লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম, তখন কালবেলার নাম তেমন জানতাম না। কিন্তু মুক্তির পর দেখেছি কালবেলা একটি শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিল্প, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কথা- সব কিছুই তুলে ধরছে বাস্তব চিত্রে। গত এক বছরে আমি দেখেছি, কালবেলা অনলাইন সাংবাদিকতায় মানসম্মত কাজ করছে এবং মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছে।
তরুণদের এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তায় ইসরাফিল খসরু বলেন, কালবেলা পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। পরিবর্তিত যুগে গণমাধ্যমের ধরন বদলে গেছে, আর কালবেলা সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতায় চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে জনগণের পাশে থেকে কাজ করছে, এটাই নতুন বাংলাদেশের চেতনা। তরুণরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে, আর কালবেলার ভূমিকা তাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠছে।
মন্তব্য করুন