কিছুদিন আগেও ঢাকা শহরের যানজটের এলাকাগুলোর তালিকায় প্রথম দিকে থাকতো মোহাম্মদপুরের নাম। মূলত মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই যানজটের দেখা মিলতো। চারদিকের রাস্তার সংযোগস্থল হওয়ায় এই মোড়টিতে যানবাহনের জট যেন ছাড়তোই না। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ সিগন্যালের যানজটও মানুষকে ভুগিয়েছে বেশ। তবে এখন চিত্র পাল্টেছে।
স্থানীয়দের মতে, বেড়িবাঁধ সিগন্যাল লোহার কাঠামোর বেরিকেড দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। এ কারণে গাবতলী থেকে বাবুবাজারমুখী যানবাহনগুলো বসিলা রোডে ময়ূর ভিলার সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে চলাচল করছে। আর বাবুবাজার থেকে গাবতলীমুখী যানবাহনগুলো লাউতলা এলাকায় ইউটার্ন নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসিলামুখী ও বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডমুখী যানবাহনগুলো সোজা চলাচল করছে। এ কারণে সবদিকের যানবাহন বিরতিহীনভাবে চলাচলে আর কোনো বাধা নেই। এ ছাড়াও বেড়িবাঁধ সিগন্যালের আশপাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় সড়কের প্রশস্ততা বেড়েছে।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ জায়গাটিতে আগের যানজটের দুর্ভোগ নেই বললেই চলে। বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এসে গাড়ির গতি একটু ধীর হলেও ভোগান্তি পোহাতে হয় না তাদের।
এ বিষয়ে ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আসলাম সাগর গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের উদ্যোগে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে রাস্তায় অস্থায়ী মিড আইল্যান্ড স্থাপন করা হয়। এ ছাড়াও ডিপিডিসি খনন করা রাস্তাও আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে ভরাট করি। যে সব রাস্তা উঁচু-নিচু ছিল সেগুলো কিছুটা লেভেলিং করানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এই কর্মকর্তা বলেন, বেড়িবাঁধ কালভার্ট রোডে ইটের খোয়া ও রাবিশ দিয়ে কিছুটা পূরণ করা হয়, যাতে এই রোড দিয়ে ডাইভারশন দেয়া যায়। বসিলা ইউটার্নের আগে থানা ময়লার ডিপো সরিয়ে ফেলা হয় কয়েকবার। সিএনজি ও ইজি বাইকের স্ট্যান্ডকে সামনের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব কারণে এখন বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এখন বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলা এবং গাবতলী থেকে সদরঘাট যানজটমুক্ত অবস্থায় খুব অল্প সময়ে যাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন