মহাখালী র্যাম্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সিটি সার্ভিস থেকে শুরু করে আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচল করতে পারবে না। তবে আজ রোববার থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক) দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ৭৯টি বাস পরিচালনা করার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যাত্রীরা যাতে কম সময়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাস চলছে না- এ নিয়ে করা এক প্রশ্নে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বাস চলাচলের এ তথ্য জানান। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর হয়ে উড়ালসড়ক দিয়ে তেজগাঁও-ফার্মগেট হয়ে বিভিন্ন রুটে চলবে এসব বাস। ভাড়াও নেওয়া হবে বর্তমান তালিকা অনুযায়ী। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে কম সময়ে চলাচল করতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাত্রী বাড়লে ভবিষ্যতে এসি বাস চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন করার পর আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে এই উড়ালসড়ক। তবে প্রথম দিনেই এই সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। হাতেগোনা পরিমাণে চলছে গণপরিবহন। এতে সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। এই বিষয় নিয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললে তিনি ৭৯টি বাস চলাচলের কথা জানান।
আন্তঃজেলা বাস কেনো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উঠছে না- এমন প্রশ্নে বাসচালকরা জানান, যাত্রী সংকট ও বনানী-মহাখালীর নামার স্থান ঠিক না থাকায় উড়ালসড়কে উঠছেন না তারা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাসের রুটের পুনর্বিন্যাস করতে হবে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাস চালাতে হবে তেজগাঁও-ফার্মগেট রুটে। তাহলে মিলবে উড়ালসড়কের সুফল। জানতে চাইলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাসুদ রানা সিকদার কালবেলাকে বলেন, মূলত বাস চলাচলের র্যাম্প হলো মহাখালী অংশে। এই র্যাম্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। র্যাম্পটি চালু হলে আন্তঃজেলা ও সিটি সার্ভিসের বাস চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি। তবে কবে এই র্যাম্পটি চালু হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
এদিকে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ কালবেলাকে বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে হবে বাসের রুট পুনর্বিন্যাস করতে হবে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে সেতু ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মহাখালী র্যাম্পটি চালু হলে বাস যাত্রীরা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে দ্রুত যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।
মন্তব্য করুন