

টানা ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের কাউন্টারগুলোতে টিকিট বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে কিছু কাউন্টার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া যাত্রী চাপ কম বলে জানিয়েছেন কাউন্টার ম্যানেজাররা।
এদিকে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে সেসব রুটের যাত্রীরা। বিকল্প হিসেবে তাদের মাহিন্দ্রা, সিএনজি ও অটোরিকশায় গন্তব্যে যাত্রা করতে দেখা যায়। তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
এর আগে গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে হাফ ভাড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে বাস টার্মিনালে থাকা একটি বাসে আগুন এবং ১২০টির মতো বাস ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। তা ছাড়া বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি বাস মালিক সমিতির।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই রাতে সীমিত সংখ্যক দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও পরদিন অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর সকাল থেকে বরিশাল থেকে দেশের সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে ঢাকা-বরিশালসহ দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার রাত থেকেই এসব রুটে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে এখনো বন্ধ রয়েছে। বাসগুলো যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে তাতে এগুলো রাস্তায় চলাচলের পরিস্থিতি নেই। সামনের গ্লাস, পাশের জানালা ভাঙা। অনেক গাড়ির ওয়্যারিং নষ্ট হয়ে আছে। এগুলো সংস্কার করতে কিছুটা সময় লাগবে। এর আগে বাস চলাচল সম্ভব না।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন কালবেলাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে মালিক সমিতিতে বৈঠকের কথা রয়েছে। যেখানে বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন। বৈঠকে ক্ষতিপূরণ এবং শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মন্তব্য করুন