২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারি-বেরসকারি সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের সব সূচকে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে সরকারি-বেরসকারি সব সংস্থার কার্যক্রমে অধিকতর গতিশীলতা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্তারোপ করেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওস্থ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পিকেএসএফর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি।
সভায় এসডিজিবিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সভায় ‘এসডিজি বাস্তবায়নে এনজিওদের ভূমিকা’-বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন মো. মশিয়ার রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিকেএসএফ।
পিকেএসএফর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। পিকেএসএফর সব কাজের মূল দর্শন হচ্ছে এই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। এ লক্ষ্যে পিকেএসএফ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ-এর বয়স ২৫-২৯ বছর। এই তরুণদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
পিকেএসএফর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার বলেন ক্ষুধা নিবারণ এবং দারিদ্র্যবিমোচন থেকে শুরু করে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় এসডিজির বেশীরভাগ লক্ষ্য অর্জনে পিকেএসএফ কাজ করছে। তিনি বলেন বিগত তিন দশকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে পিকেএসএফ।
মন্তব্য করুন