

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাতাসে গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাতাসে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে রাজধানীর শনিরআখড়া, কুড়িল, বসুন্ধরা, মাটিকাটা গেট, উত্তরা, আশকোনা, ভাসানটেক, দক্ষিণখানসহ বিভিন্ন এলাকার বাতাসে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ এইচ এম মাছউদুর রহমান জানান, বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাইপলাইন সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাইপলাইনে একটি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যার কারণে এ ধরনের গন্ধ ছড়াতে পারে। এ ছাড়া কোথাও পাইপলাইন লিকেজ হলেও এমন গন্ধ পাওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে কেউ যদি নির্দিষ্ট এলাকায় এমন গন্ধ টের পান, তাহলে তিতাসের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন। আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে শেরপুরের নালিতাবাড়িতে নলকূপ খনন করতে গিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেল শ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে নলকূপের বোরিং করার সময় বেরিয়ে আসে ওই গ্যাস। আর সে আগুনেই নিজের পরিবারসহ প্রতিবেশীদের হচ্ছে রান্না।
হঠাৎ করে পানির বদলে গ্যাস বের হওয়ায় অবাক বাড়ির লোকজনসহ এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেল শ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শত মানুষের জটলা। এসময় স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে মিস্ত্রি টিউবওয়েলের বোরিং শুরু করেন। দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে ৫৫ ফুট বোরিংয়ের পর পাইপ দিয়ে অনবরত আসতে থাকে গ্যাস। এরপর নতুন করে আরও দুটি স্থানে ৪০ ফুট বোরিং করার পরও চিত্র একই। সবগুলো বোরিংয়ে গ্যাস আসতেছে। পরে মিস্ত্রিরা দুটি বোরিং মাটিচাপা দিয়ে রাখলেও একটি দিয়ে অনবরত বের হতেই থাকে। আর এই গ্যাস দিয়েই ১০ দিন ধরে নিজের পরিবারসহ প্রতিবেশীদের হচ্ছে রান্নাবান্না।
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ বলেন, গ্যাস একটি ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস। মাটির নিচে কী পরিমাণ গ্যাস আছে এটা তো বোঝা যায় না। এই আগুন যদি মানুষের ক্ষতি করে তাহলে তো বিপদ। সরকার পদক্ষেপ নিলে আমি নিশ্চিন্ত হতাম। আমি তো ভয়ে আছি। কখন যে কোন বিপদ হয় আল্লাহ ভালো জানেন।
শরিফুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, গ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এই সম্পদ সরকারের। সাম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী জামালপুরে গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এখানেও গ্যাস থাকতে পারে। তাই সরকারের এদিকে নজর দেওয়া দরকার। সরকার অনুসন্ধান করলে আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত সোনার হরিণ মিলতেও পারে।
মন্তব্য করুন