বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও ১২-দলীয় জোট পৃথক কর্মসূচি ঘিরে আজ মহাসমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে রাজধানী ঢাকা। এসব সভা-মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশপথ ও লঞ্চে আসা যাত্রীদের মোবাইল, ব্যাগ চেক করছে পুলিশ। এ ছাড়াও তারা কোথা থেকে, কেন এসেছেন জানতে চাওয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী সদরঘাট এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চে সাধারণ যাত্রীদের সংখ্যা কম হলেও সমাবেশের উদ্দেশে আসা যাত্রীদের সংখ্যা অত্যধিক। প্রায় সকল যাত্রীকেই দেখা যায় খালি হাতে। ছিল না তাদের কাছে কোনো ব্যাগ।
বরিশাল থেকে আসা আব্দুল মান্নান নামের এক জামায়াত নেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বরিশাল থেকে আমরা লঞ্চে কয়েক শতাধিক লোক এসেছি জামায়াতের সমাবেশ সফল করতে। আমরা লঞ্চে এক সাথে থাকলেও লঞ্চ থেকে নামার পরে দুজন-তিনজন করে আলাদা হয়ে গেছি। লঞ্চ থেকে নামার পরই পুলিশ আমাদের অনেকের মোবাইল চেক করেছে। আমাদের কাছে কোনো ব্যাগ না থাকায় পুলিশ বারবার জিজ্ঞাসা করছে খালি হাতে কেন ঢাকায় আসছি। আমার সামনেই তিনজনকে থানায় নিয়ে গেছে।
বিএনপির কর্মী পরিচয় দেওয়া আরেক কর্মী বলেন, আমি ভোলা থেকে লঞ্চে করে বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য ঢাকায় এসেছি। আমি সদরঘাট থেকে নামার পরই আমার মোবাইল আমার সঙ্গে থাকা ছোট ব্যাগ পুলিশ চেক করেছে। কোনো কিছু না পেয়ে আমাকে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমাকে আটকে রেখে তারপর ছেড়ে দেয়।
পাশাপাশি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মাতুয়াইল এলাকায় পুলিশ এবং র্যাব সদস্যদের একাধিক চেকপোস্ট লক্ষ করা গেছে।
মেহেদী হাসান নামের এক বাসযাত্রী বলেন, আমি কাঁচপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছি। বাসে পুলিশ তল্লাশি করেছে। আমার ব্যাগ চেক করেছে। কোথায়, কেন যাচ্ছি তা জিজ্ঞেস করেছে। উত্তর দেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ চেক করার পর যাদের সন্দেহভাজন মনে হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। এ আটকের বিষয় জানতে চাইলে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন