সাত দফা দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি তুলে ধরে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেছে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনের আয়ের সিংহভাগ নিয়ে নেয় সিএনজি অটোরিকশার মালিক, প্রশাসন ও চাঁদাবাজ-দালালরা। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তাদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে ২০০৭ সালে সরকার অনুমোদিত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালককে নিবন্ধন দেওয়া। আরও ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন/ব্লু-বুক নিশ্চিত করা। ঢাকা মহানগরে সিএনজি অটোরিকশা দৈনিক জমা বৃদ্ধি না করা। পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না দিয়ে নো পার্কিং মামলা দিয়ে চালক হয়রানি বন্ধ করা। ২০১৫ সালের মিটারের রেটে মিটারের মামলা দিয়ে চালক হয়রানি বন্ধ করা। মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার জন্য পৃথক লেন/বাইলেন তৈরি করে চলাচলের সুযোগ দেওয়া।
রাজধানীর সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় ঢাকা মহানগরের সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ দেওয়া এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও বিধিমালা ২০২৩ এর চালক স্বার্থবিরোধী ধারা বাতিল করা।
পরিষদের সদস্য সচিব গোলাপ হোসেন সিদ্দিকি বলেন, অটোরিকশা চালকরা দৈনিক ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করেও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছি না। সামাজিক নিরাপত্তা নেই। আইএলও কনভেনশন ৮৭ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার কার্যত অধিকার নেই। আমরা যা কিছু আয় করি তার সিংহ ভাগ নিয়ে নেয় সিএনজি অটোরিকশার মালিক, প্রশাসন ও চাঁদাবাজ-দালালরা। খাওয়া-পরার খরচ শেষে ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ চালানো ও মাস শেষে ঘরভাড়া দিতেও হিমশিম খাই। নিজে ও পরিবার পরিজন অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি না। সিএনজি অটোরিকশা পরিচালনায় সরকারি যে নিয়মনীতি রয়েছে, তা দুঃশাসনে পরিণত হয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা জগতে সুশাসন বলে কিছু নেই। সর্বক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা চলছে। প্রশাসন একেই আইন প্রয়োগ বলে দাবি করছে।
তিনি আরও বলেন, সিএনজি অটোরিকশা খাতে শৃঙ্খলা আনতে আমাদের দাবিগুলো সরকারের মেনে বাস্তবায়ন করা উচিত। দাবি আদায় না হলে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন