রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ এলাকায় শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কলে বাড়ির গ্যারেজ ও দোতলার একটি রুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের লাশ দেখতে পায়। তার গলা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে দোতলায় গিয়ে শোবার ঘরে স্ত্রী ফরিদার লাশ পাওয়া যায়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাহিদ ফেরদৌস।
তিনি বলেন, আজ সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোমেনবাগে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডাকাতি নাকি হত্যা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাকাতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে আমাদের মনে হচ্ছে। আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁরা দোতলায় থাকতেন। নিচতলার এক পাশ এবং তিন ও চারতলা ভাড়া দেওয়া। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন ও তার স্ত্রী একই বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকেন। গতকাল বুধবার রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান।
মন্তব্য করুন