বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. ওমরের জানাজায় হাজারও মানুষের ঢল নেমেছে। বুধবার (০৭ আগস্ট) আছরের নামাজের পর বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
তার জানাজার নামাজে ছাত্র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বোয়ালখালী উপজেলার ছাত্র ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। জানাজা নামাজ শেষে ছাত্র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা উপজেলার ফুলতল নামক স্থানকে শহীদ ওমর চত্বর নাম ঘোষণা করার প্রস্তাব করলে উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে সেটি ‘শহীদ ওমর চত্বর’ নামকরণ করা হয়।
নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক, বোয়ালখালী উপজেলা আমির ডা. খোরশেদ আলম, উপজেলা নায়েবে আমির ডা. আবু নাছের, পৌরসভা আমির মুহাম্মদ হারুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন লিপু, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি ইছহাক চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ নুরুন্নবী চৌধুরী, সদস্য সচিব ও আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক মান্নান, পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ চৌধুরী, চানদগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন ভুইয়া, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সেলিম ও মেহেদী হাসান সুজন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের সমন্বয়ক মো. সাকিল, নির্বাস বিন আমির,কাজী ইবনুর, সোয়েব রহমান, ওমর ফারুক, নয়ন উদ্দিন,কলিমুল্লাহ,হেলাল উদ্দিন, আশরাফ, ফয়সাল উদ্দিন মাহি, শাহজাহান জুয়েল, ফাহিম, রাহি, তায়েফ, সাইফসহ শত শত শিক্ষার্থী।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের সমন্বয়ক মো. সাকিল বলেন, গত ১৬ জুলাই আমার ডান চোখে মারাত্মক আহত হয়েছে। তারপরও দমে যায়নি। বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রসমাজকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাই সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়োজন। সবার মতামতের ভিত্তিতে মো. ওমরের নামকরণে ফুলতলকে শহীদ ওমর চত্বর ঘোষণা করা হলো।