মন্ত্রী, এমপি, সচিব, রাজনৈতিক নেতা, বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল দফায় দফায় পরিদর্শন করেন, মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়, প্রশাসন বিধিনিষেধ আরোপ করে। হবে, হচ্ছে- এমন শত প্রতিশ্রুতি এলেও কাঙ্ক্ষিত সেই আশা-প্রত্যাশার মাঝে থেকে যায় অনেক ফারাক। শতবর্ষী নাজিরহাট পুরোনো হালদা সেতু হালদা নদীর ওপর হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার প্রথম সেতুবন্ধন হলেও অবহেলা আর অযত্ন এ সেতুর অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্ষার ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সেতুর মাঝখানের অংশ দেবে গেছে কয়েক বছর আগে। এবারের বর্ষার প্লাবনে শেষ শক্তি প্রয়োগ করেও টিকে থাকার লড়াই করছে এ সেতু। তবে, প্রবল স্রোতে আর কতদিন, কতক্ষণ দুই উপজেলার লাখো মানুষের সেতুবন্ধন হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে নাজিরহাট পুরোনো হালদা সেতু সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন : ২০১৩ সালের গাড়ি ভাংচুর মামলায় বিএনপির ২১ নেতাকর্মীর দুই বছরের কারাদণ্ড
গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতবর্ষী এ সেতু আগের তুলনায় বেশি কম্পিত হচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে এ সেতু ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আংশকা করছেন পথচারীরা।
নাজিরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ জাফর আলম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ সেতু পুনর্নির্মিত না হলে আর কখনোই আশার মুখ দেখবে না।
নাজিরহাট আদর্শ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, এ সেতু দিয়ে যান চলাচল বহু আগে বন্ধ হয়ে গেছে। নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায় ধস নেমেছে, এখানে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের দাবি আমাদের।
নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী কালবেলাকে অবহিত করেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে, শিগগিরই ভালো সংবাদ পাবে নাজিরহাটবাসী।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ কালবেলাকে জানান, সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি নাজিরহাট পুরোনো সেতুর স্থলে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যা প্রক্রিয়াধীন।
ফটিকছড়ির নাজিরহাট পুরোনো হালদা সেতু বর্ষার প্লাবনে ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ছবি : কালবেলা
মন্তব্য করুন