টানা পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতে বন্যার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপকূলীয় ইউনিয়নের মানুষগুলোকে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এতে বন্যায় অন্তত দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢলে চকরিয়ার কৈয়ারবিল ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পানিতে একেবারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে শুধু ঘরের চালটুকুই জেগে আছে। সব ভেসে গেছে পানিতে।
আরও পড়ুন: তলিয়ে গেল ২২৮৩টি ঘর
গ্রামীণ জনপদ সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। যে দিকে চোখ যায় সেই দিকে থৈ থৈ পানি আর পানি। অসহায় মানুষদের ঘরে নেই খাদ্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে শুরু করে বসতবাড়ি সবটাতেই শুধু পানি আর পানি। শত শত গ্রামের হাজার হাজার পরিবার বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড় ও এলজিইডি অফিস জানায়, উপজেলার তিনটি বেড়িবাঁধসহ গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলো বন্যার স্রোত ঢুকে ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এতে বিশেষ করে কৈযারবিল, বরইতলী, ভেওলা কোনাখালী, সাহারবিল, খুটাখালী, চিরিংগা ও পৌরসভার লাখ লাখ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অসহায় মানুষেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যা ও দেয়াল ধসে শিশুসহ নিহত ৩
এদিকে উপজেলা সদরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রাস্তাসমূহে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে গত দুই দিন ধরে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে- আরকার মহাসড়কসহ চকরিয়া উপজেলার কৈয়াররবিল-চিকলঘাটা সড়ক, বানিয়াছড়া বরইতলী শান্তিবাজার সড়ক, চিরিংগা বদরখালী সড়ক, হারবাং সড়ক, কোনাখালী সড়কগুলো পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এর আগে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নদীতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে শাহ আলম নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে।
অপরদিকে বরইতলী ইউনিয়নে দেয়াল ধসে দুই শিশু নিহত হয়েছে। তারা হলো- ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের নাজেম উদ্দিনের দুই সন্তান তাবাসুম (১) ও সাবিদ (৫)। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান ও বরইতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান।
মন্তব্য করুন