চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘দুঃসময়ে আশার আলো দেখিয়েছে সেনাবাহিনী’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা। ছবি : কালবেলা

সম্প্রতি রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোয় আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। তারা বলেছেন, সেনাবাহিনী এ দুঃসময়ে নতুন পথচলায় আশার আলো দেখিয়েছে। হতাশার অন্ধকার দূর করতে সহায়তা করছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জি। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক বাসুদেব ধর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অশোক মাধব রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল দেবনাথ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রমেন মন্ডল।

প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন সব জেলা ও উপজেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং স্ব স্ব এলাকার চিত্র তুলে ধরেন। সভার সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন ও মহানগর পূজা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিখিল কুমার নাথ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত পথে যে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে- সে দেশের মানুষ নির্যাতন, হামলা ও বৈষম্যের শিকার হতে পারে না। মানুষে মানুষে বিভেদ, অনৈক্য কিংবা ঘৃণা এ দেশের মানুষের পথ হতে পারে না। হাজার হাজার বছর ধরে এই মাটিতে ঐক্যই আলোকবর্তিকা হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। তাই ছাত্র-জনতাকে আবার রাস্তায় নামতে হয়েছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে এক পরিবার হিসেবে দেখতে চান। আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তবে সরকারের নানা পদক্ষেপে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না।

বক্তারা বলেন, প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলতে হলে মানুষে মানুষে বিভেদ, অনৈক্যের প্রাচীর ভাঙতে হবে। সমাজের কেউ যেন বিভেদ ও হিংসার শিকার না হয়, অন্তর্বর্তী সরকার এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধ এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

এদিকে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে নগরের অফিসার্স ক্লাবে আসতে শুরু করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। বক্তব্যে নানা সংকট ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন তারা। প্রথমে লক্ষ্মীপুর, তারপর নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা। তারা বলেন, সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় রক্ষা পেয়েছে তাদের মণ্ডপ, নিরাপদে ঘুমাতে পারছেন সাধারণ হিন্দু ধর্মালম্বীরা। নিজেদের এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কৃতজ্ঞতাও জানান তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১০

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১১

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১২

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৩

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৪

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

১৫

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

১৬

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

১৭

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১৮

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

১৯

এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে মিলল অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

২০
X