চট্টগ্রামে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় রায়হান (৩২) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। বর্তমানে ভুক্তভোগী ও ধর্ষক দুজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে আকবর শাহ এলাকায় বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে জনতা ধর্ষককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে ওই কিশোরীকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার পরিবার। তাদের বসতঘরের পাশে পাহাড়ে খোঁজাখুঁজির পর রায়হানসহ কিশোরীকে খুঁজে পায় স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা।
রায়হানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নেত্রকোনায়। এখানে তিনি এক আত্মীয়ের বাসায় থাকেন বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবা বলেন, তার মেয়েকে ছুরি নিয়ে ভয় দেখিয়ে বাসার পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যান রায়হান। সেখান থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে আনা হয়। মেয়েকে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। আগেও এক নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে রায়হান। চার মাস কারাভোগের পর আবার এলাকায় ফিরে যান।
পুলিশ জানায়, রায়হানকে গণপিটুনি দেওয়ার পর পুলিশ এ বিষয়ে খবর পেয়েছে। পরে তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ভুক্তভোগীর পরিবার রয়েছেন।
আকবর শাহ থানার এসআই ফয়সাল কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয় জনতা ধর্ষক রায়হানকে আমাদের কাছে সোপর্দ করেন। আমরা ভুক্তভোগী ও ধর্ষককে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। আমরা অপেক্ষায় আছি।
ছুরির ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কি না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরাও শুনেছি। কিন্তু কেউ আমাদের ছুরি হস্তান্তর করেননি। গণপিটুনি দেওয়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন