আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা শেষে প্রচারে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। আট দফার সেই ইশতেহার সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ছাত্রদলের ইশতেহারে ক্যারিয়ার গঠনে দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও। এ ইশতেহার বাস্তবায়িত হলে ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকবে ছাত্রদল। তারা যেসব বিষয় ইশতেহারে তুলে এনেছে, তা বাস্তবায়ন করা গেলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র। ফলে ইশতেহারের কথাগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের চাওয়াই।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনে ছাত্রদলের পুরো প্যানেল প্রচার চালায়। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, ঝুপড়ি দোকান, আবাসিক হলেও শিক্ষার্থীদের কাছে লিফলেট তুলে দেন।
এ সময় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন, জিএস প্রার্থী শাফায়াত হোসেন, এজিএস পদপ্রার্থী আইয়ুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিনসহ প্যানেলের বাকি প্রার্থীরা ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।
এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করে ছাত্রদল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ক্যাম্পাস সবার জন্য নিরাপদ হবে। উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করতে পারবেন সব শিক্ষার্থী। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়বে ক্যাম্পাসজুড়ে। আবাসন সংকট দূর হবে। এ রকম নানা প্রতিশ্রুতি উঠে এসেছে ছাত্রদলের ইশতেহারে। বিষয়গুলো আমাদের খুবই ভালো লেগেছে।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান বলেন, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নির্বাচিত হলে অনলাইন স্টুডেন্ট পোর্টাল চালু করার কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্লাস রুটিন, ফলের তথ্য জানাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
চাকসুর ছাত্রদল মনোনীত ভিপি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় কালবেলাকে বলেন, একটি উদার গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এ ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সংকট বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ইশতেহারে ৮টি দফা যুক্ত করা হয়েছে। ইশতেহারে শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নির্বাচিত হলে অনলাইন স্টুডেন্ট পোর্টাল চালু করা হবে। এর মাধ্যমে ক্লাস রুটিন, ফলের তথ্য জানাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এ ছাড়া ম্যাটল্যাব স্থাপন এবং গবেষণার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে আধুনিকায়ন করে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা, প্রতিটি হলে পাঠকক্ষ ও গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা এবং শহরের ২ নম্বর গেটে গ্রন্থাগারের শাখা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন কালবেলাকে বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে। ফলে এই ইশতেহার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন