

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে শুরু হয়েছে গম আমদানি কার্যক্রম।যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে সরকার মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করবে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই প্রকল্পের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামক এক জাহাজ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে জাহাজটি। যেখানে রয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গম।
জানা যায়, বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুল্ক থেকে বাঁচতে মার্কিন আমদানির পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ও কমানো এবং সে থেকে আমদানির বাড়ানোর পথে হাঁটে অন্তর্বর্তী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্কের চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টার মধ্যে জুলাই মাসে দেশটি থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ।
ঢাকায় এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য দিয়ে তখন খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ সমঝোতা হয়েছে। যদিও ভারত, রাশিয়া, বেলারুসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গম আমদানি করা হয়। পরে জুলাইতে দীর্ঘ আলোচনার পর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।
আরও পড়ুন : প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে কাশি দেবেন, বারবার কাশি দিয়ে ধরা চাকরিপ্রার্থী
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ গম আমদানি কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে। জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রামে এবং বাকি ২২ হাজার ৭৮৯ টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
মন্তব্য করুন