

বিদেশে পড়াশোনা এখন শুধু একটি স্বপ্ন নয়, বরং হাজারো তরুণ-তরুণীর জীবনের লক্ষ্য। প্রযুক্তি, নীতি আর শিক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত অগ্রগতির কারণে বিশ্ব এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সংযুক্ত। কিন্তু এই সংযুক্ত পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তব সুযোগ তৈরি করেছে, আর তাদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য এখন নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দেশ যেখানে শিক্ষার মান, গবেষণার পরিসর এবং নিরাপত্তা একসঙ্গে পাওয়া যায়। বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে সিডনি, মেলবোর্ন এবং ব্রিসবেন প্রায়ই প্রথম দশে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য এই শহরগুলো কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা নয়, বরং জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য। সম্প্রতি এই প্রবাহ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে Assessment Level ১ দেশ হিসেবে। অর্থাৎ এখন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া হবে আগের তুলনায় অনেক সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ। এই পরিবর্তনের মানে হচ্ছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আর অতিরিক্ত কাগজপত্র বা জটিল প্রমাণপত্রের ভেতর দিয়ে যেতে হবে না। কম নথি, কম সময় আর বেশি নির্ভরযোগ্যতা, এই তিনটি বিষয় এখন অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার পথে এক বিশাল সুবিধা এনে দিয়েছে।
ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এখন সুযোগ বেড়েছে। নতুন শিক্ষার্থী কোটা, উন্নত আবাসন এবং বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এখন অস্ট্রেলিয়ার দরজা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি খোলা।
অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা মানেই শুধু ক্লাসরুমে লেখাপড়া নয়। এখানে শিক্ষা সরাসরি কর্মজীবনের সঙ্গে যুক্ত। প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, ডিজাইন, বা সামাজিক বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে মিলে কাজ করে। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ার সময়েই বাস্তব দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়।
অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি বড় সুবিধা হলো কাজের সুযোগ। যারা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ছে, তারা প্রতি দুই সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বৈধভাবে কাজ করতে পারে। এর বাইরে যারা গবেষণাভিত্তিক মাস্টার্স বা পিএইচডি করছে, তাদের জন্য কাজের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এতে করে শিক্ষার্থীরা নিজের খরচের অংশ মেটাতে পারে, পাশাপাশি কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাও অর্জন করে।
তবে মনে রাখতে হবে, অস্ট্রেলিয়া এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী গ্রহণে আরও সতর্ক হচ্ছে। সরকার ভিসা প্রসেসে নতুন নিয়ম আনছে যাতে শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বজায় থাকে। কিন্তু যারা জেনুইন শিক্ষার্থী, তাদের জন্য কোনো বাধা নেই। বরং তাদের জন্য প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হচ্ছে, কারণ বাংলাদেশ এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দিক হলো সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই, কোর্স নির্ধারণ, আবেদন লেখা, ফান্ডিং প্রমাণ, ইংরেজি দক্ষতার শর্ত, এই সবকিছু সঠিকভাবে না জানলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই সহজ। এখানেই প্রয়োজন একজন পেশাদার গাইডেন্স পার্টনারের, যে পুরো প্রক্রিয়াটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে পরিচালনা করবে।
IECC Bangladesh সেই কাজটাই করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এটি শুধু একটি শিক্ষা পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট সিস্টেম। দেশের প্রতিটি জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদন, স্কলারশিপ, ভিসা ও আবাসনের বিষয়ে বিস্তারিত সহায়তা পায়। তাদের নিজস্ব কাউন্সেলর টিম প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রোফাইল অনুযায়ী উপযুক্ত কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ দিচ্ছে।
IECC Bangladesh নিয়মিতভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে স্টাডি অ্যাব্রড ইভেন্ট আয়োজন করছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। এতে আবেদন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হয়, শিক্ষার্থীরা নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ বেছে নিতে পারে। আর IECC Bangladesh অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যাওয়া, কোনো শিক্ষার্থীর কাছেই কোনরূপ অ্যাপ্লিকেশন ফি অথবা ফাইল প্রসেসিং ফি নেয় না। পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পূর্ণ ফ্রি!
অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে চাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এখনই সময় প্রস্তুতি নেওয়ার। অ্যাকাডেমিক ফলাফল, ইংরেজি দক্ষতা, এবং সঠিক পরামর্শ, এই তিনটি জিনিস থাকলেই সফলভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, গবেষণা করছে, আর নিজের দেশের নাম উজ্জ্বল করছে।
ভবিষ্যৎ যাদের হাতে, সেই তরুণদের জন্য অস্ট্রেলিয়া শুধু একটি গন্তব্য নয়, বরং আত্মপ্রকাশের মঞ্চ। আর তাদের সেই যাত্রাপথকে সহজ করে দিচ্ছে IECC Bangladesh, যারা বিশ্বাস করে, সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা থেকেই বিশ্বমানের প্রতিভা উঠে আসতে পারে!
মন্তব্য করুন