ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘ভিশনারি নেতা’ এখন ‘দেশগঠনের প্ল্যানার’

ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

২০০৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে আমার প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হয়। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা করি। বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে আমরা জাতীয় সংসদ ভবনের কাছেই একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছিলাম।

সেদিন অত্যন্ত তরুণ বয়সে ভব্যিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের মনের স্বপন্গুলো তাকে যেভাবে বলেছিলাম, তেমনি তার স্বপ্ন জানতে তাকে অগণিত প্রশ্ন ছুড়েছিলাম আমরা। তারেক রহমানও তখন টগবগে যুবক। তিনি দেশ নিয়ে তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছিলেন তরুণ সংবাদকর্মীদের সামনে।

এরপর কয়েক বছরে তিনি নিজেকে একজন ভিশনারি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। তৃণমূল প্রতিনিধি সভার মাধ্যমে বিএনপি ও ছাত্রদলকে তিনি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপির সাংগঠনিক রাজনীতিতে তার ভূমিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দল পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরের আদলে তিনি ছাত্রদলকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ছাত্ররাজনীতিতে গুনগত মান ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন।

সারা দেশে ঘুরে ঘুরে তিনি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তরুণ-যুবকদের ভিশনারি করার চেষ্টা করেন। জেলা ও থানা পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে তৃণমূলে আরও জনপ্রিয় করার উদ্যোগ তাকে ‘ম্যানেজারিয়াল পলিটিক্স’-এর দিকে নিয়ে যায়, যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবারের ডেমোক্র্যাটিক লিডারশিপ ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ তাদের লেখনীতে তারেক রহমানকে একজন ‘ভিশনারি জাতীয়তাবাদী নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (সূত্র: পলিটিক্যাল থট অব তারেক রহমান, সালেহ শিবলি, ২০১৩ এবং ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’, মাহাবুবুর রহমান, ২০১৭) এভাবে অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও সমাবিজ্ঞানী তাকে বাংলাদেশে ‘জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ভবিষ্যৎ নেতা’ এবং ‘ভিশনারি দেশেপ্রমিক নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

এমন ভিশনারি জাতীয়তাবাদী নেতা হওয়ার প্রচেষ্টার শুরুতেই তারেক রহমান সিন্ডিকেটেড অপপ্রচারের শিকার হন। এর পরিণতি হিসেবে তাকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকার কোনো প্রকার মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার ও কারান্তরীণ করে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী তাকে নির্মম নির্যাতনে আহত করে এবং ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

লন্ডনে তিনি ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন পার করেছেন। প্রথম কয়েক বছর তিনি কেবল চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। ২০১৩ সালের আগে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। প্রায় পাঁচ বছর মূলত শরীর ও মনের ক্ষত ঘোচাতেই সময় পার হয় তার। এমনকি বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতিতেও তিনি তেমন অংশ নিতে পারেননি।

২০১৩ সালের ২০ মে তারেক রহমান লন্ডনে প্রথম কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেন। যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ওই প্রোগ্রামে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। (সূত্র বিবিসি) ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনার সরকার পুনরায় ক্ষমতা দখল করলে বাংলাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদে থাকা তারেক রহমান লন্ডন থেকে এই আন্দোলন পরিচালনা করেন। ২০১৫ সালে নতুন নির্বাচনের দাবিতে এই আন্দোলনকে তিনি আরো শক্তিশালী রূপ দেন। ওই বছরের ৭ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

জনগণের কাছে নিজের মতামত পৌঁছাতে তখন তারেক রহমান বিকল্প পথ গ্রহণ করেন। অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও কর্মসূচি প্রণয়ন শুরু করেন। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার বিকল্প হিসেবে তাকে নির্ভর করতে হয় সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর।

সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরও ফ্যাসিবাদী সরকার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে থাকে। এ অবস্থায় ফোন ও অনলাইনে যুক্ত হয়ে অব্যাহতভাবে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করেন তারেক রহমান। লন্ডনের এক প্রান্তে কিংসটনে বসবাস করেছেন তিনি। পূর্ব লন্ডনে এসে বিএনপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন এবং বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিনিয়ত।

বাংলাদেশের সঙ্গে ছয় ঘন্টা সময়ের ব্যবধান থাকায় তার দৈনন্দিন কার্যসূচি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার অনুষ্ঠানে ঢাকায় কথা বলতে হলে তারেক রহমানকে ফজরের নামাজের আগেই ক্যামেরার সামনে বসতে হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যেই বিরতি নিয়ে তাকে ফজর নামাজ পড়তে হয়েছে বহুবার। ৬৪ জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, কর্মসূচি প্রণয়ন, ঘোষণা ও বাস্তবায়নে দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন গত একযুগ।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পর যখন বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল, তখনও আলোকবর্তিকা নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাহস জুগিয়েছেন। ফ্যাসিবাদের পতনের কৌশল প্রণয়নের পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি নীতি প্রণয়ন করেছেন। অনলাইনে যোগ দিয়ে তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে ফ্যাসিবাদের নির্মম নির্যাতনের কাহিনি শুনেছেন, নীরবে কেঁদেছেন, সহমর্মিতা জানিয়েছেন।

লন্ডনে বিএনপির যে কোনো নেতাকর্মী এলে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের মতামত শুনেছেন। বাংলদেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, ডাক্তার যেসব পেশাজীবীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে, তিনি দেশের সমস্যা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে তাদের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি শুনেছেন বেশি, বলেছেন কম।

একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের উপায় যেমন খুঁজেছেন, তেমনি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কৌশল প্রণয়ন করতে তিনি সব পর্যায়ের মানুষের মতামত গ্রহণের চেষ্টা করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারেক রহমান যখন রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেন, তখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা নিয়ে হাস্যরস করা হয়েছিল। এমনকি তার দল বিএনপির অনেক নেতা ও দীর্ঘ সময় জোটে থাকা দলগুলোও এমন সংস্কার প্রস্তাবকে স্বাগত জানানোর মতো সাহস করে উঠতে পারেনি।

২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তারেক রহমানের পক্ষে তার দল রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করে। তারেক রহমান মূলত তার বাবা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘১৯ দফা’ এবং মা বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’-এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

এটাকেই তার দল বিএনপির বর্তমান ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জুলাই বিপ্লবের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন, তার প্রায় সবই এই ৩১ দফায় আছে।

এই ৩১ দফা প্রণয়নে তারেক রহমান বাংলাদেশের গণমানুষ, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, উন্নয়নকর্মী, তরুণ-যুবক-বৃদ্ধ সব পর্যায়ের মানুষের মতামত নিয়েছেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে চলমান স্লোগান এটি তিনি ২০২২ সালেই নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ আমাদের স্বপন্ নয়, এটি আমাদের পরিকল্পনা।

এই পরিকল্পনা গ্রহণে তিনি উন্নত বিশ্বের অবকাঠামো গড়ে তোলার ইতিহাস পর্যালোচনা করেছেন। নিজে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, গবেষক, পুলিশ, অর্থনীতিবিদ, পরিবহন বিশেষজ্ঞ, সমাজ সংগঠকদের সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।

বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে তিনি যেমন বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, তেমনি উন্নত বিশ্বের মডেলের পুরোনো ইতিহাসকে পর্যালোচনা করেছেন। এজন্যই তিনি বলেছেন, 'আমরা বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর, কানাডা বা আমেরিকা বানাতে চাই না; আমরা বাস্তবতার নিরিখে সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।'

দীর্ঘ ১৭ বছরে যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশের রাষ্ট্র, অর্থনীতি ও সমাজ কাঠামোতে সরাসরি অভিজ্ঞতা যেমনি তাকে ঋদ্ধ করেছে, তেমনি তিনি নতুন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, কৃষি, শিক্ষা এবং সামাজিক অবকাঠামোতে উন্নত বিশ্বের মডেলের ছাপ দিতে চান। তার ঘোষিত ৩১ দফায় এসব কিছুর আগাম বার্তা মেলে।

'নতুন বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা' নিয়েই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। নির্বাসনের পর দেশে ফিরে নতুন বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমান পাঁচটি বিষয়কে প্রায়োরিটি দিতে চান। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান, প্রান্তিক মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও বিদেশনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এভাবেই একজন ভিশনারি নেতা তারেক রহমান এখন হয়ে উঠেছেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্লানার।

লেখক: রয়টার্সের সাবেক সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন

সিলেট পৌঁছালেন তারেক রহমান

ন্যান্সির কণ্ঠে গান ‘নেতা আসছে’

বাংলাদেশের আকাশসীমায় ঢুকে তারেক রহমানের স্ট্যাটাস 

দেশের আকাশ সীমানায় ঢুকল তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান

বিমানবন্দরে পৌঁছেছে তারেক রহমানের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি

নাইজেরিয়ায় মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৭

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

অভিযানে ৪০ লাখ লিটার তেল জব্দ

পুলিশের ২ গাড়িতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, অতঃপর...

১০

তীব্র শীতের মধ্যেও ৩০০ ফিটে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাতযাপন

১১

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে সময় বাড়ল

১২

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা

১৩

তীব্র শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা কত

১৪

সদরঘাটে বিএনপি নেতাকর্মীর ঢল

১৫

রাস্তায় কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত শিশু

১৬

‘ভিশনারি নেতা’ এখন ‘দেশগঠনের প্ল্যানার’

১৭

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : প্রধান উপদেষ্টা

১৮

মধ্যরাতে গ্রেপ্তার সেই তাহরিমা

১৯

ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

২০
X