চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িক

মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর বালুচর থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। এতে এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি জনবসতি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি, নদীরক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানসমূহ হুমকির মুখে পড়েছে। অনুমোদন ছাড়াই বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করায় সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান- চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি, কাকারা পৌরসভার ১নং বাঁধ, আমান্নারচর, হালকাকারা, কৈয়ারবিল, সদারকাটা, ভরন্নারচর, বেতয়াবজার, সেকান্দরপাড়া, বিএমচর ও কোনাখালী, হারবাংসহ বিভিন্ন স্পট থেকে শ্যালোমিশিন বসিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মাতামুহুরি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীরকূলবর্তী এলাকা, নদীর গাইটবাঁধ, চাষাবাদি জমিসহ জনগুরুত্ব স্থাপনাসমূহ নদীতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

তারা আরও জানান, স্থানীয়ভাবে এলাকায় অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীর আদলে হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও বালু তোলা বন্ধ হয়নি।

এলাকাবাসীর দাবি মাতামুহুরি নদী থেকে বালুভর্তি ভারি ট্রাকে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করায় জনপদের রাস্তাঘাট ক্ষতবিক্ষত হয়ে ধসে ভেঙে যাচ্ছে। এদিকে বছর ঘুরে আসতে না আসতে পৌরসভার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গ্রামীণ জনপদের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অনেক রাস্তা ঘাট এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে। এতে জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন বাপা ও ধরিত্রী রক্ষায় ধরা এবং সচেতন মহালেরেরা জনস্বার্থে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, মাতামুহুরি নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। নদী ইজারা দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। পযার্যক্রমে মাতামুহুরির নদীর স্পটে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে এটি একার পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয়দের সহযোগিতার দরকার রয়েছে।

এদিকে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী জানান, পৌরসভার ১নং বাঁধ থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে শুনেছি। তবে আমাদের কেউ এ কাজে জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, নদী থেকে বালি উত্তোলনের ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো অনুমোদন নেয়নি। আমাদের ফোর্স নেই, ব্যবস্থা নিতে পারছি না।

এদিকে মাতামুহুরি নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন- বিষয়টি নদীরক্ষা কমিশনের দায়িত্ব, আমাদের অধীনে নয়। তবু কোথায় কী হচ্ছে দেখব। আমি দেখছি কোথায় কী হচ্ছে। পরে আপনাকে জানাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় আরও এক সংগঠন

এক নামের সবাইকে কি মাফ করে দেওয়া হবে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ অবৈধ : ডিসি কামরুল হাসান

সি-স্যুট সম্মাননা পেলেন নেসলে বাংলাদেশের পরিচালক এএসএম হাফিজুল

চিরনিদ্রায় ধর্মেন্দ্র

বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

ঘুষের অভিযোগ / দুদকের শুনানিতে বিআরটিএ পরিদর্শক বরখাস্ত

চট্টগ্রামে কম্বলের গুদামে ভয়াবহ আগুন

সুন্দরবনে ৪ জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন একজন

১০

নির্বাচন আয়োজনে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

১১

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি সাদা দলের শিক্ষকদের

১২

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার কমনওয়েলথ মহাসচিবের

১৩

যে তারিখে জন্ম সে তারিখে বিয়ে করলে কি ক্ষতি হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

১৪

স্টেডিয়ামে ধ্বংস করা হলো উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল

১৫

যাবজ্জীবনে দণ্ডিত গ্রেপ্তার আলম মলমপার্টির ‘সক্রিয়’ সদস্য

১৬

এবার ব্রুনাইয়ের জালে বাংলাদেশের গোলবন্যা

১৭

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১

১৮

মুখ খুললেন তানজিন  তিশা

১৯

ভূমিকম্প নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি

২০
X