মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কমিউনিটি ক্লিনিকের বিল পকেটে ঢোকান ‘বড় বাবু’

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পুরোনো ছবি
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পুরোনো ছবি

কমিউনিটি ক্লিনিকের বিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী গনেশ বাবুর বিরুদ্ধে। হাসপাতালের সবাই তাকে ‘বড় বাবু’ নামে চেনে।

কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো এক চিঠি থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ারের অপারেশনাল প্ল্যানের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য পরিবহন, পরিচ্ছন্নতা ও উৎসব পালনের জন্য বরাদ্দকৃত বার্ষিক একটি বিল দেওয়া হয়। সেই বিল উপজেলা হিসাব সংরক্ষণ অফিসে দাখিলের পর কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারদের (সিএইচসিপি) কাছে দেওয়া হয়।

বর্তমানে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় ৪৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। এসব ক্লিনিকের জন্য বরাদ্দ হয় ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এরমধ্যে পরিবহন ব্যয় থেকে ১০ শতাংশ, ব্যানার থেকে ১০ শতাংশ ও আপ্যায়ন থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখার কথা। এসব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটা ক্লিনিক পাবে ১০ হাজার ৪৫০ টাকা করে। কিন্তু মনিরামপুর উপজেলার সিএইচসিপিদেরকে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৯০০ টাকা করে। আর এই হিসাবের গড়মিলের জন্য অভিযোগের তীর উঠেছে অফিস সহকারী গনেশের দিকে।

অভিযোগ আছে, উপজেলা হিসাব সংরক্ষণ অফিসে নিজের মতো করে হিসাব দাখিল করেন গনেশ। পরে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সিএইচসিপিদের মাঝে এই বিল বিতরণ করেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক সিএইচসিপি অভিযোগে জানান, বরাদ্দের কম অর্থ দেওয়ার বিষয়ে গনেশ বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য উপজেলা যা পাবে আপনারাও তাই পাবেন। ওসব চিঠি ঠিটি বুঝি না।’

এ বিষয়ে জানতে অফিস সহকারী গনেশকে ফোন দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে কালবেলাকে বলেন, কে কে অভিযোগ করেছে। তাদের নামের তালিকা করে আমার অফিসে আসেন। অভিযোগকারীদের নাম আমার কাছে জমা দিয়ে তারপর কথা বলেন। আমি সবাইকে সব টাকা বুঝে দিয়েছি। আর বেশি কিছু জানতে চাইলে টিএইচএ তন্ময় বিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করেন।

পরে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাসকে ফোন দিলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘ভ্যাটের যে টাকা সেটি তো কাটা যায় পাশাপাশি অ্যাকাউন্টস অডিটের কিছু খরচ থাকে সেভাবেই কাটা হয়। চিঠিতে যেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ভ্যাট কাটার কথা নেই, সেখানে উপজেলা হিসাব সংরক্ষণ অফিস ভ্যাট কাটে। ভ্যাট ছাড়া তারা বিল দেয় না। তারা অঘোষিতভাবে টাকাগুলো কেটে রাখে। অফিসের ‘বড় বাবু’ গিয়ে বিলটি ছাড় করিয়ে আনেন।’

উপজেলা হিসাব সংরক্ষণ অফিসের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

যশোর জেলার সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি বিষয়টি মাত্র জানলাম আপনার থেকে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাড়ল বাস ভাড়া

পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে ক্লিন সিটি : চসিক মেয়র

জুলাই সনদে মিত্রদের ‘কাছাকাছি মতামত’ দেওয়ার পরামর্শ বিএনপির

সন্তানকে বাঁচিয়ে প্রাণ দিলেন বাবা

সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

১০

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

১১

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

১২

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

১৩

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

১৪

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

১৫

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১৬

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১৭

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১৮

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৯

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

২০
X