সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নিয়োগের নিয়মনীতি না মেনে ২৪ শতক সম্পত্তির বিনিময়ে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক এবং আয়া পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার নান্দিনা মধু উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক ও আয়া পদে এই নিয়োগ বাণিজ্য হয়। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ম্যানেজিং কমিটি এই নিয়োগ বাণিজ্য করেন।
নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, অফিস সহায়ক পদে মো. ইউসুফ আলী ও আয়া পদে মোছা. আকলিমা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই জানা ছিল এই দুজন নির্বাচিত হবেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই গ্রামের লোকজন নিয়ে মিটিং করে ২৪ শতক জায়গার বিনিময়ে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছিলে। নিয়োগ পরীক্ষা শুধু একটি লোক দেখানো বিষয় ছিল।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আগেই মিটিং করা হয়েছিল। যারা নিয়োগ পাবে তাদেরই বিদ্যালয়ের পাশে ২৪ শতক সম্পত্তি কিনে দিতে হবে অথবা সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে বলেও চুক্তি হয়।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম তারা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, এই নিয়োগটা দুই বছর ধরে ঝুলছে। পরে যে জমি দেবে তাকে চাকরি দেওয়া হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়। আমরা গ্রামে দরবার করে এটা ঠিক করেছি। আর যে প্রতিনিধি আসবে তাকে ৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়।
ডিজির প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান বলেন, আমারটা আমি বলতে পারি, নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জমির ব্যাপারে আমাদের জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, যারা লিখিত ও মৌখিকে ভালো করেছে তাদেরকে নিয়েছি। বাকি প্রশ্নের উত্তর প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনতে বলে তিনি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়িতে উঠে দ্রুত চলে যান।
এ ব্যাপারে নিয়োগ পরীক্ষার সদস্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান বলেন, আমি নিয়োগ কমিটির সদস্য। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
মন্তব্য করুন