উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। যে কোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ৩ ঘণ্টায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবরে আবারও চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো নতুন করে আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। শনিবার সকাল থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় থেকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন